করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সারা বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন সংক্রমণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়লো গাজা।
দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো আর অপর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম এর কারণে শুরু থেকেই বাড়তি সতর্ক অবস্থানে অবরুদ্ধ এই উপত্যকা। এইকারণেই সারা বিশ্বে কোভিড ১৯ এর বিস্তৃতির পরও কেউ সংক্রমতি হয়নি গাজায়।
বছরের পর বছর সারা পৃথিবী থেকে যে স্থানটি এক প্রকার বিচ্ছিন্ন সেখানেও পৌছে গেছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। তবে স্বস্তির কথা এখনো কোনো সংক্রমিত নেই বিশ লাখ অধিবাসীর গাজায়। চীনের বাইরে সংক্রমণ শুরুর সময় থেকেই কোভিড ১৯ নিয়ে সতর্ক গাজা। শুরু থেকেই সতর্কতা মূলক নানা পদক্ষেপ নেয় হামাস প্রশাসন।
প্রতিবেশী ঈসরাইল ও মিশরে করোনা ভাইরাস ছড়ালেও দারিদ্র পীড়িত এই অঞ্চলে ভাইরাস ঠেকানোর এই সাফল্য প্রশংসা পাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে গাজায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট আছে মাত্র দুইশোটি। কোভিড ১৯ চিকিৎসায় সম্বল মাত্র ত্রিশ শয্যার একটি হাসপাতাল। সামর্থ্য নেই নতুন যন্ত্রপাতি কেনার। রয়েছে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবও। স্বাস্থ্য সেবায় এমন নড়বড়ে পরিস্থিতিতে প্রতিরোধকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় যে কেউ প্রবেশ করলেই থাকতে হচ্ছে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাফেরায়ও রয়েছে ব্যাপক কড়াকড়ি।
১৩ বছর ধরে অবরুদ্ধ গাজায় এক প্রকার গৃহবন্দী সবাই। “করোনা ভাইরাসের কারণে আজ সারা বিশ্বেই অবরুদ্ধ হতে বাধ্য হয়েছে মানুষ। অথচ বছরের পর বছর এভাবেই অবরুদ্ধ জীবন কাটছে আমাদের। বিশ্ববাসী এখন এই ধরণের পরিস্থিতি বুঝতে পারছে। তাই আশা করছি বিশ্ববাসী আমাদের দিকে সহানুভুতির নজর দিবে” গণমাধ্যমকে এমনটাই বলেন গাজার অধিবাসীরা।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈসরায়েল ও মিশর থেকে ফেরা প্রায় তিন হাজার মানুষ আছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। একটি স্কুলে চালু করা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আছেন আরো প্রায় ৮০০ জন। ১৭ মার্চ থেকে পুরোপুরি বন্ধ ঈসরায়েল ও মিশরের সাথে সীমান্ত।