চট্টগ্রাম কাস্টমের ই-অকশনে (অনলাইন নিলাম) তোলা হচ্ছে বেশ কয়েকটি আইটেমের ফেব্রিক্সসহ ৪৬ লট পণ্য। অনলাইনে দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা রয়েছে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ১৬ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলামে তোলার মাধ্যমে ই–অকশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ২০ লট পেঁয়াজ নিলামে তোলা হয়। এছাড়া একই বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ১১২ লট গাড়ি তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১২ ও ১৩ জুন কার্নেট ডি প্যাসেজ (শুল্কমুক্ত পর্যটক সুবিধায়) সুবিধায় আসা ১০৮টি গাড়ি পুনরায় নিলামে তোলে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৮ লট কার্নেট গাড়ি নিলামে তোলা হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ধরনের ২৩ লট পণ্য এবং গত ৩১ ডিসেম্বর ১০৮ লট পণ্য ই–অকশনে তোলা হয়। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ধরনের ৭৯ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। ১৬ মে নিলামে তোলা হয় ৯০ লট পণ্য। ২৬ জুন নিলামে তোলা হয় ৬২ লট পণ্য। এছাড়া সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর তোলা হয় ৬ লট পণ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টমের বিডাররা (দরপত্র আহ্বানকারী) বলছেন, অনুমোদনে সময়ক্ষেপণের কারণে ই–অকশন নিয়ে এলেও বিডারদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই। যার ফলে সাধারণ বিডাররা ই–অকশন থেকে বারবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ই–অকশন মানে হচ্ছে দ্রুত নিলাম। এখানে ম্যানুয়াল নিলামের মতো মাসের পর মাসের সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। তাহলে ই–অকশন করে লাভ কী? এছাড়া পদ্ধতিগত এখনো সবকিছু ম্যানুয়াল নিলামের মতো হচ্ছে। নিলামের স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী ১২ কার্যদিবসের মধ্যে পণ্যের অনুমোদন দিতে হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ–কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালাস না নেওয়া এবং মামলা জনিত কারণে বন্দরে পড়ে থাকা পণ্য রুটিন অনুযায়ী নিলামে তুলতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এবার ৪৬ লট পণ্য অনলাইন নিলামে তুলেছি।
আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়।
সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টম। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কনটেইনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কনটেইনার জট লাগে। দিনের পর দিন কনটেইনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।
এমডিআইএইচ/ইএ/জেআইএম