গ্রাহকরাও যেন হয়রানির শিকার না হয় যে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশিষ্টদের নির্দেশ দিতেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন বীমা নিয়ে সাধারন মানুষের সচেতনতা কম।তাই এই খাতে উৎসাহ দিতে কাজ করছে সরকার। দুর্নীতি মুক্ত করতে কম্পানিগুলোকে অটো মেশন করা হবে বলে জানান সরকার প্রধান।১৯৬০ সালের পহেলা মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে উচ্চ পদস্থ একজন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করায় প্রতি বছর পহেলা মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এবারই প্রথম জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতেই এ খাতে অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিকে সম্মানিত করা হয়।এ সময় বীমা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নানা অবদানের পাশাপাশি এই শিল্পের প্রসারে বর্তমান সরকারের নানা উদ্যেগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।বলেন,বীমা নিয়ে গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসের সংকট দূর করতে হবে।
ইন্সুরেন্স কোম্পানিরই একজন অফিসার হিসেবে তার দায়িত্ব কোম্পানিকে ব্যাপকভাবে প্রচার এবং প্রসার ঘটানো।একসাথে দুটি কাজই হতো।আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাত করা কথা বলা আর সেই সাথেতো ইন্সুরেন্স কোম্পানির ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন।তিনি ৪৯টি দেশী বিদেশী বীমা কোম্পানিকে জাতীয়করণের মাধ্যমে ৪টি বীমা করপোরেশন ঘটল করেছিলেন।পৃথিবীর সব দেশে এখন আধুনিক প্রযুক্তি সমপন্ন হয়ে গেছে ।সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি আমাদের দেশে পুরো বীমা সিস্টেমকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনারা দাঁড় করাবেন।বিভিন্ন প্রতিষ্টানে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে বীমা খাতে দক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ ও বীমার দাবিকৃত অর্থ পেতে গ্রাহকরা যেন হয়রানির শিকার না হোন সেদিকে লক্ষ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান।বীমার মাধ্যমে বহু মানুষের কর্মসংস্হান হতে পারে। আগুন লাগলে ইনস্পেকশনে পাঠান, সৎ ও ট্রেনিং প্রাপ্ত লোক পাঠাতে হবে।প্রিমিয়ামটা সঠিকভাবেই দেয় সেটাও যেমন প্রয়োজন তেমনি বীমার টাকাটা পায় সঠিকভাবে।দুঃসময়ে একটা বিরাট সাহায্য বিষয়টি মানুষের সামনে মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং এ ব্যাপারে যথেস্ট ভাবে সচেতনা সৃষ্টি করা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে আমি মনে করি ।