‘বিস্ফোরক দ্রব্য মেলেনি, সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুনরায় উদ্ধারকাজ শুরু হবে’

0
3


রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫ তলা ভবনটিতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করবে। সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি বললেন, আমাদের কার্যালয় কাছে হওয়ায় বিস্ফোরণের ৭ মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা এখানে চলে আসে। ভবনের বেইজমেন্ট ও গ্রাউন্ড ফ্লোর অনেকটা ধসে গেছে। ভবনের কলামগুলোও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। রাজউক ও সেনাবাহিনীর মতামত নিয়েছি, ভবনটি এখন ঝঁকিপূর্ণ। যার জন্য আমরা এখন ঢুকতে পারছি না। সেনাবাহিনী থেকে আমরা সহায়তা নিচ্ছি। এটাকে স্থিতিশীল করে আমরা আবার উদ্ধার অভিযান করব। ওপরে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। নিচের কাজটি সেনাবাহিনীর সহায়তায় করা হবে।

মূলত, বিস্ফোরণ হওয়া ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাময়িকভাবে উদ্ধারকাজ বন্ধ করে রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটির আশপাশও সিল করে ফেলেছে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। ভবনটিতে যেকোনো সময় আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে উদ্ধারকারী এই বাহিনীটি।

দোকান মালিক সমিতির সাথে কথা বলে সেখানে গ্যাসের লাইন ছিল না বলে জানা গেছে, এ সময় এমনটা উল্লেখ করেন মো. মাইন উদ্দিন। বলেন, এই মুহূর্তে দুর্ঘটনার কারণ বলতে পারছি না। সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে। অন্য কোনো কিছু আছে কিনা তারা তদন্ত করে জানাবে।

বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে আরও লোক আটকা আছেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বহুতল ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ইতোমধ্যে আহত অবস্থায় শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর গুরুতর আহত ৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তিকৃত ৭ জনই পুরুষ। তারা হলেন— মো. হাছান, মোস্তাফা, মুসা, খলিল, আজম, অলি সিকদার ও ইয়াসিন।

এ ঘটনায় পাশের আরও একটি ৭ তলা বাণিজ্যিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই ভবনের বাসিন্দারা ছাড়াও পথচারীরা এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কীভাবে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি এখনও।

/এমএন