কাজাখস্তানের আক্তাউ শহরের কাছে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের একটি যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে। প্লেনটিতে ৬২ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু ছিলেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আক্তাউ শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় প্লেনটি। দুর্ঘটনার বিষয়ে কাজাখস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী কানাত বোজুমবায়েভ বলেছেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ৩৮ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এম্ব্রায়ার ১৯০ মডেলের প্লেনটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।
আরও পড়ুন>>
দুর্ঘটনার পর আজারবাইজানের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তর জানিয়েছিল, প্লেনটিতে থাকা ৬৭ আরোহীর মধ্যে ৩২ জন বেঁচে রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে দপ্তরটি বলেছে, তদন্ত চলছে এবং সব সম্ভাব্য কারণ পরীক্ষা করা হচ্ছে। আজারবাইজানের উপ-প্রসিকিউটর জেনারেলের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল কাজাখস্তানে গিয়ে ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
আজারবাইজান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, গ্রোজনি যাওয়ার ফ্লাইটগুলো তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়াশার কারণে প্লেনটি বিকল্প এয়ারপোর্টে অবতরণের অনুরোধ করেছিল।
প্লেনের যাত্রীদের মধ্যে আজারবাইজান, রাশিয়া, কাজাখস্তান এবং কিরগিজস্তানের নাগরিকরা ছিলেন।
রাশিয়ার আকাশ পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যে বোঝা যাচ্ছে, একটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর প্লেনটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিল।
কাজাখস্তান সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
দুর্ঘটনার জেরে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ রাশিয়ায় একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ বাতিল করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভও এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/