করোনায় বিপর্যস্ত প্রতিবেশী দেশ ভারত । ভারতীয় ধরণ শনাক্তে দেশটির সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার । তারপরও গেল কিছুদিন ধরে সীমান্তবর্তী সাত জেলায় সংক্রমণ হার উদ্বমুখী । ভারতীয় ধরণ শনাক্ত হওয়ায় আতঙ্কে স্থানীয়রা । এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ রোধে চাপাইনবাবগঞ্জে আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে বিশেষ লকডাউন । এদিকে গত এক সপ্তাহে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ ।
যা সক্ষমতা ছাড়িয়েছে । চাপাইনবাবগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের পরও কমেনি করোনা সংক্রমণ । ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪৫ জন । এ অবস্থায় সোমবার দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় বিশেষ লকডাউনের সময়সীমা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয় । ঈদের পর থেকে করোনা সংক্রমনের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে নওগাঁয় । গেল বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত ৪ দিনে করোনা শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৮২ শতাংশ ।
এ অবস্থায় সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে ।
এদিকে রংপুরেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ । এরপর থেমে নেই সীমান্ত জেলার মানুষের আসা – যাওয়া । একই চিত্র কুষ্টিয়ায়ও । ২৪ ঘটনায় এই জেলায় ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ জন । সিভিল সার্জন বলছেন , বিশেষ লকডাউন দেয়া হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত হবে মঙ্গলবার । গেল এক সপ্তাহ ধরে যশোর জেলায় করোনা সংক্রমণ উর্ধমুখি ।
বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে আসা ভারত ফেরত যাত্রীদের যশোরের বিভিন্ন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে । স্থানীয়দের অভিযোগ , ভারত ফেরত এসব যাত্রী প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহী ,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় ঈদের পর থেকে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে আগের তুলনায় শতভাগের বেশি । চিকিৎসা নিতে যারা আসছেন , তাদের অধিকাংশের প্রয়োজন হচ্ছে হাই – ফ্লো অক্সিজেন বা আইসিইউ । ফলে চাপ বেড়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাশাপাশি নওগাঁ ও নাটোর থেকে অনেক রোগীকে পাঠানো হচ্ছে রাজশাহী ও বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । হাই – ফ্লো অক্সিজেন ও আইসিইউ না থাকায় জেলা হাসপাতালগুলো থেকে রোগী ফেরত দেয়া হচ্ছে ।
যেভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে , তাতে দ্রুত করোনা বিশেষায়িত ওয়ার্ড বাড়ানো না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ ।