জুমআর নামাজ পড়ার অপরাধে চাকরি ও কাজ থেকে বিতাড়িত

0
3
RFL

জুমআর নামাজ পড়ার অপরাধে হবিগঞ্জে এক যুবককে চাকুরিচুত্ত করা হয়েছে। যুবকের নাম মারুফ খান। তিনি আরএফএল বেস্ট বাই হবিগঞ্জ সদর শোরুমের একজন সেলস এক্সিকিউটিভ। শুক্রবার তিনি নিজের ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে গেছে।

নিচে তার ফেইসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ

আমি মারুফ খান, আরএফএল বেস্ট বাই, হবিগঞ্জ সদর শোরুমের একজন সেলস্ এক্সিকিউটিভ।

আমি একজন মুসলমান! নামাজ আদায় করা আমাদের ইসলাম ধর্মে প্রত্যেকের জন্য ফরয। আর সেই ফরয নামাজ (পবিত্র জুম্মার নামাজ) পড়তে যাবার অপরাধে আজ আমাকে শোরুম থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আজান পরার পর আরএফএল বেস্ট বাই শোরুম, আমাদের হবিগঞ্জ সদরের শোরুম ম্যানেজারকে ফোন দেই কিন্তু উনি ফোন না ধরে কেটে দেন। উনি ফোন ধরবেন কিভাবে উনি তো প্রতিদিনের ন্যায় কাজ ছেড়ে বাহিরে গিয়ে আরাম করছিলেন। উনি ফোন না ধরাতে আমি কাপড় বদলিয়ে আমরা ৩জন শোরুম বন্ধ করে মসজিদে চলে যাই। ঠিক ঐ মূহুর্তে ম্যানেজার আমাকে ফোন দিয়ে বলেন যে, আমি কার অনুমতি নিয়ে শোরুম বন্ধ করছি, সে আমাকে বলে যে আমি চাকরি করতে চাই না নামাজ পড়তে চাই?
আমি তখন বললাম স্যার চাকরি করি বলে কি আমাকে নামাজ ছেড়ে দিতে হবে?
উনি আমাকে ঐ কথা শুনে হুমকি দেন যে আমাকে ঘাড় ধরে শোরুম থেকে বের করে দিবেন এবং আমাকে চাকরি থেকেও বের করে দিবেন।

Manager of Bestbuy

ঐ মূহুর্তে আমি নামাজ না পড়ে মসজিদ থেকে চলে আসি এবং আইসা শোরুম খুলি।
তখন ম্যানেজার আইসা আমাকে শোরুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে।
আমি কিছু বুঝে উঠতে না পেরে কি করবো না করবো কোনো কিছু না ভেবে চলে আসি।
শুধুমাত্র মসজিদে গিয়ে পবিত্র জুম্মার নামাজ পড়ার অপরাধে আমাকে কাজ ও শোরুম থেকে বের করে দেয়া হলো।

চাকরি করি তাই বলে কি আমি আমার ধর্ম ও নামাজ আদায় করতে পারবোনা।
নামাজ পড়তে মসজিদে গেছি এটাই কি আমার অপরাধ?
নামাজ পড়া যদি অপরাধ হয়ে থাকে আর সেই অপরাধে যদি চাকুরিচ্যুত হতে হয় তাহলে আমি আমার আল্লাহ ও রাসুলের বিধান পালন করতে গিয়ে সেই চাকরি করবোনা।

দোয়া করবেন, আল্লাহ ভরসা ।
হবিগঞ্জের মানুষ এমন করবে তা কল্পনা করা জায় না। আমরা এর সুষ্ট সমাধান চাচ্ছি এবং এ কর্ম কান্ডের তিব্র প্রতিবাদ করছি।