পি কে হালদারের আরেক বান্ধবী নাহিদা রুনাইয়ের হিসেবে অস্বাভাবিক লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন – দুদক । গেল পাঁচ বছরে ৭০ কোটি টাকারও বেশি শুধু তার হিসেবেই লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা । তবে পি কে হালদারের অবৈধ সম্পদ বিদেশে পাচারের অন্যতম এই সহযোগী এখনও চাকুরি করছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন , আর্থিক খাতে শৃংখলা ফেরাতে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিকল্প নেই ।
বড় অংকের অর্থ জালিয়াতি করে পলাতক পি কে হালদারের সহযোগীদের নাম এক এক করে উঠে আসছে দুদকের অনুসন্ধানে ।অবন্তিকার পর এবার তার আরেক বান্ধবী অন্যতম সহযোগী নাহিদা রুনাইয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে ।
সাধারণ ঘরে বেড়ে উঠা নাহিদা রুনাইয়ের বাবা ছিলেন সরকারি কেরানী । অথচ তার হিসেবেই লেনদেন হয়েছে প্রায় ৭০ কোটি টাকা । স্থাবর – অস্থাবর সম্পদ মিলে কমপক্ষে ২৮ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক । দুদক বলছে , কমপক্ষে চারটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কোন দেশে কত টাকা পাচার হচ্ছে তার হিসেব রাখতেন রুনাই ।
রুনাই বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট । চাকুরিতে যোগদানের কয়েক বছরে তার উত্থানের নেপথ্যে পি কে হালদার । প্রথমে রিলায়েন্স ফাইনেন্স দিয়ে শুরু করে একের পর পদোন্নতি পেয়েছেন রুনাই ।
পি কে হালদারের বান্ধবী হিসেবে তাকে ডাকা হতো বড় আপা । বিশেষজ্ঞরা বলছেন , আর্থিক খাত ধ্বংসের জন্য দায়ি এই মানুষগুলোর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া উচিত ।
এরই মধ্যে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে নাহিদা রুনাইয়ের বিরুদ্ধে ।