গরু ও খাসি ‘ওজন ভিত্তিক’ বিক্রি বাধ্যতামূলক করতে লিগ্যাল নোটিশ

0
3


ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশু (গরু ও খাসি) সাধারণত ওজন ছাড়াই দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করা হয়ে থাকে। গত কোরবানির ঈদেও হাটে পশু ওজন ছাড়াই বিক্রি করা হয়েছে। এতে সাধারণ জনগণ প্রতারণার শিকার হন এবং ন্যায্যমূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হন। এ অবস্থার পরিবর্তনে ‘ওজন ভিত্তিক’ বিক্রি বাধ্যতামূলক করার দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রেজিস্ট্রি ডাক ও ই-মেইলের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। লিগ্যাল নোটিশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিএসটিআই চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজে।

নোটিশে বলা হয়েছে, মাছ ও মুরগি ওজন অনুযায়ী বিক্রি হলেও কোরবানির পশুতে এখনো পর্যন্ত ‘লাইভ ওয়েট’ বা জীবিত ওজনের ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়নি। ফলে, মূল্য নির্ধারণ নিয়ে দরকষাকষি হয় এবং সাধারণ মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠকেন।

ইসলামে ওজন নির্ধারণ করে সঠিকভাবে পণ্য বিক্রির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। যেমন- ফিতরার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল বা আটা ওজন করে দান করার নির্দেশনা রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে গরু ও খাসি ওজন ভিত্তিক বিক্রি করা ইসলামী মূল্যবোধ, ভোক্তা অধিকার এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

নোটিশে দাবি করা হয়েছে, প্রত্যেক হাটে বিএসটিআই অনুমোদিত ডিজিটাল ওজন যন্ত্র স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং পশুর দাম ওজনে নির্ধারণ করতে হবে।

এ বিষয়ে ১০ দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এফএইচ/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।