২৫ কেজির এক বস্তা পেয়াঁজে প্রায় অর্ধেকই মিলছে পাথর । আমদানী করা এমন পেয়াজের পরিমাণ প্রায় ৪০ টন । চট্টগ্রাম বন্দরে বড় বড় পাথরসহ বিপুল পরিমাণ এই পেয়াজ এসেছে তুরস্ক থেকে । ভোক্তা অধিকার সংগঠন – ক্যাব বলছে , আমদানির নামে মানি লন্ডারিং করতেই এমন কারসাজি কি না তা যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ।
সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষও বলছে , এই কারসাজি খতিয়ে দেখবেন তারা । আহাদুল ইসলাম বাবুর ক্যামেরায় নয়ন বড়ুয়া জয়কে সাথে নিয়ে আরো জানাচ্ছেন বাবু কামরুজ্জামান । দেশের বাজারে সংকট মেটাতে প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা ।
সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানির বিপরীতে ঘটেছে প্রতারণার ঘটনা । তুরস্ক থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে আসা বিপুল পরিমান আমদানি করা পেয়াঁজের বস্তায় মিলেছে বড় বড় পাথর । দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে দেখা যায় ২৫ কেজির এক বস্তা পেয়াঁজে পাওয়া যাচ্ছে ১২ কেজিরও বেশি পাথর । প্রায় ৪০ টন পেয়াজের কপালে জুটেছে একই পরিণতি । এ নিয়ে সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে , এই কারসাজির বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন তারা ।
মো: নাছির উদ্দিন , উপ পরিচালক , সমুদ্র বন্দর , চট্টগ্রাম । আমদানি রপ্তানির বিপরীতে দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের খবর প্রায়ই উঠে আসে শুল্ক গোয়েন্দার প্রতিবেদনে । ভোক্তাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব বলছে , আমদানির আড়ালে মানি লন্ডারিং হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ।
চলতি বছরের শুরুতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা । তবে দেশটির স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই আমদানি করছেন তুরস্কের পেঁয়াজ ।