সুরাইয়া ইয়াসমিন সুমি
তীব্র গরমের সময় শীতল পরিবেশ যেন প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। কোনো পরিকল্পনা ছিল না কোথাও যাবো। হঠাৎ ঠিক হলো আমরা বের হবো। পিংকি ও ওর স্বামী আসছে। আমি আয়েশা আপুর সাথেই বের হলাম। পিংকিকে বারবার ফোন দিলে সে ফোন ধরে শুধু বলে আসতেছি। প্রায় ৩০ মিনিটের মতো দাঁড়িয়ে আছি। আয়েশা আপু বলেন, ‘আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না, চলে যাই।’ আপুকে বললাম, ‘আর একটু অপেক্ষা করো।’
ভাইয়া আর পিংকি মোটরসাইকেলে করে এলো। আমি আর আয়েশা আপু উঠে পড়লাম ইজিবাইকে। চরের হাটে যেতে জনপ্রতি ২০ টাকা করে নেয়। আমরা আগে আগে যাচ্ছি। ভাইয়া বাইক নিয়ে পেছন পেছন। কারণ তারা চেনেন না। বেশি সময় লাগে না যেতে।
চরের হাটের পরিবেশ ঠান্ডা। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিবেশ। ছবি তোলার জন্য আছে অনেক রকম বুথ। নৌবাহিনীর একটি প্রতিকৃতিও আছে। পাশেই নদী, বেশ সুন্দর লাগছিলো। খাবারের জন্য আছে রিভার ক্যাফেসহ কয়েকটি ছোট ছোট ফুড কোর্ট। আছে ঝুলন্ত সেতুর মতো।
সুন্দর আলোকসজ্জায় সন্ধ্যা আরও সুন্দর লাগে। সামনে এগিয়ে যেতেই নেভি ক্যাম্প। সহজে কাউকে ভেতরে যেতে দেয় না। যেহেতু রিফাত ভাইয়া ছিলেন, তাই সমস্যা হয়নি। রিফাত ভাইয়াও ডিফেন্সের সাথে যুক্ত। আমরা অনায়াসে গেলাম। ভেতরে পার্কের মতো ছোটখাটো একটা পরিবেশ অনুভূত হয়েছে। বাতাসের প্রবাহ যেন চারপাশকে শীতল করে তুলছিলো। জায়গাটি এককথায় অসাধারণ।
আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম। তারপর আস্তে আস্তে বের হয়ে গেলাম। যেহেতু ছবি তোলার অনেক বুথ আছে। ছবি না তুলে কি আর থাকা যায়? তাই সবাই ছবি তুললাম। কখনো ভাইয়া তোলেন তো, কখনো আবার আয়েশা আপু আর পিংকি। রিফাত ভাইয়া অনেক সহজেই মিশে যান। হাসি-খুশি একজন মানুষ। তিনি আমাদের ট্রিট দিলেন। গরমে কোল্ড কফি মানেই যেন আর কিছুই লাগে না।
আয়েশা আপু আর পিংকি তো আরও বেশি আন্তরিক। সাথে থাকলে মন খারাপ দূর হয়ে যায়। পালাক্রমে সবার ছবি তোলা শেষ। বের হতে হবে। আমি, আয়েশা আপু আর পিংকি হাঁটতে হাঁটতে বের হচ্ছি। রিফাত ভাইয়া গেলেন পার্কিং স্পট থেকে বাইক আনতে। বাইক আনার পর পিংকি উঠে গেলো। আমরা ইজিবাইকে।
চরের হাটের বিকলেটা আসলেই সুন্দর ছিল। এই গরমে ঠান্ডা-শীতল অনুভব মনের ভেতর অন্যরকম পুলকিত করে তুলেছিল।
লেখক: অনার্স ৩য় বর্ষ, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, সরকারি বিএল কলেজ, খুলনা।
এসইউ/জিকেএস