দেশের সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের উন্নয়নে ৫ দফা দাবিতে সাত কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের খোয়ারপাড় (শাপলা চত্বর) মোড় থেকে অষ্টমীতলা (পুলিশ লাইন্স মোড়) পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধনটি শেরপুর প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে করা হয়।
আয়োজকরা জানান, ১৯৮৪ সালে শেরপুর জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত এখানে দৃশ্যমান বড় কোনো সরকারি উন্নয়ন হয়নি। নেই রেলপথ, মেডিকেল কলেজ, পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তর।
বক্তারা বলেন, অপার সম্ভাবনাময় অঞ্চল হলেও উন্নয়ন সূচকে পিছিয়ে শেরপুর। গত ১৭ বছর রাজনৈতিকভাবে শুধু আশ্বাসের মধ্যেই জেলাবাসী অপেক্ষা করেছে। জেলাবাসীর ন্যায্য দাবি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, রেলপথ, কৃষি ও পর্যটন খাতের বিভিন্ন অবকাঠামো স্থাপনের ওপর জোর দিয়ে এবং তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।
৫ দফা দাবি হলো- কৃষি, প্রযুক্তি ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে আধুনিক একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, আধুনিক উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারি মেডিকেল কলেজ অথবা বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ, শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে (এটিআই) পূর্ণাঙ্গ কৃষি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দ্রুত শেরপুর জেলাকে রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং জেলার পর্যটন এলাকায় আধুনিক হোটেল-মোটেল স্থাপন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও বন সংরক্ষণ করাসহ পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।
শেরপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি কাকন রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, ডালিয়া সামাদ রাজিয়া, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, জামায়াত সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, মাওলানা আব্দুল বাতেন, জেলা এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুকসিতুর রহমান হীরা, ড্যাব নেতা ডা. মো, সুরুজ্জামান শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত আরিফ হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মমিনুর রহমান, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আ.জ.ম রেজাউল করিম খান, প্রমুখ।
উমর ফারুক সেলিম/জেডএইচ/জিকেএস