ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) তরিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার সহপাঠীরা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম হাতে আঘাত করেন হামলাকারীরা। এছাড়া তাকে লাঠি ও বেল্ট দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলের নেওরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সহপাঠী ও বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলার সময় দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে ‘বড় নেতা হয়ে গেছিস? ভার্সিটির বিরুদ্ধে আন্দোলন করস’ বলে চিৎকার দিতে থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন তরিকুলের সহপাঠীরা।
আহত তরিকুল ইসলাম ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
এদিকে, ইউআইইউতে চলমান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তরিকুল ইসলাম। এ কারণে তার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও বন্ধুদের।
তরিকুলের বন্ধু মাশরাত ফারদিন জাগো নিউজকে বলেন, সন্ধ্যার দিকে তরিকুল সাতারকুল এলাকায় ঘুরতে যান। একপর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন দুইজন তাকে অনুসরণ করছেন। পরে তিনি নাওরা এলাকায় নৌকাতে ওঠেন। এপার থেকে ওপারে নামার পর মোটরসাইকেলে দুজন এসে তার ওপর হামলা চালিয়েছে।
ফারদিন বলেন, তরিকুলকে ধারালো ক্ষুর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে তার বাম হাতে কয়েক জায়গায় জখম হয়েছে। তাছাড়া লাঠি ও বেল্ট দিয়ে তাকে পেটানো হয়েছে। যারা তাকে পিটিয়েছে তারা হামলার সময় বলতে থাকেন, কিরে খুব বড় নেতা হয়ে গেছিস? ভার্সিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনের করস?।
এ ধরনের কথাবার্তা থেকে আমরা ধারণা করছি, আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় তার ওপরে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে যোগ করেন তরিকুলের বন্ধু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও সিএসই বিভাগের প্রধানের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা। ওইদিন রাতে উপাচার্য ও ১১ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। এর পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীরা এটিকে কৌশলী পদত্যাগ এবং সাজানো নাটক বলে অভিহিত করেছেন। উপাচার্য ও সিএসই বিভাগের প্রধান ছাড়া অন্য শিক্ষকদের পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়াসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
এএএইচ/এমআইএইচএস