ঈদের আনন্দ ও ঘুরাঘুরির জন্য যমুনা নদীর পাড়কে বেছে নিয়েছেন সিরাজগঞ্জে প্রকৃতিপ্রেমীরা। জেলায় তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে নদী তীরবর্তী হার্ড পয়েন্ট ও ক্রসবার-৩ এলাকা।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ঈদের পঞ্চম দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপচে-পড়া ভিড় দেখা গেছে এসব এলাকায়। সিরাজগঞ্জ শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রকৃতিপ্রেমীরা হার্ড পয়েন্ট ও ক্রসবার-৩ এলাকায় ভিড় করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমে যমুনার বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চরে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরীরা পরিবারসহ হেঁটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ কেউ রিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে শহর রক্ষা বাঁধ দিয়ে চলাচল করছেন। প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
আবার অনেকে নৌকায় ঘুরছেন। কেউ কেউ যমুনা চরে ঘুরে ঘুরে দেখছেন। ফুচকা, চানাচুর, আইসক্রিমের দোকানের পাশাপাশি চুরি-ফিতা ও বেলুনসহ বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান বসেছে এসব স্পটে। সব দোকানেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
যমুনা নদীর হার্ড পয়েন্ট এলাকার বাদাম বিক্রেতা আব্দুস সালাম জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের প্রথম দিন থেকে এখানে হাজারো মানুষের ঢল নামে। এতে আমাদের বেচা বিক্রিও ভালো হয়।
আরও পড়ুন:
যমুনা নদীর ক্রসবার-৩ এলাকায় ঘুরতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী তামান্না খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, সিরাজগঞ্জে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। তবে যমুনা নদীর হার্ড পয়েন্ট ও এই বাঁধে বসে গল্প ও আড্ডায় মেতে উঠি আমরা। প্রতিদিন বিকেলে হাজারো দর্শনার্থী দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় জমান। বিশেষ করে সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের দৃশ্য মুগ্ধ করে। এ যেন প্রকৃতির এক সৌন্দর্য অনুভবের যায়গা। তবে ঈদকে ঘিরে দর্শনার্থী বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
রায়গঞ্জ উপজেলা থেকে আসা দর্শনার্থী নাসির উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে, সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করছি। সেইসঙ্গে যমুনায় নৌকায় ঘুরেছি। সবমিলিয়ে আমাদের এবারের ঈদ-আনন্দটা খুবই ভাল হয়েছে।
ফুচকা ও চটপটি বিক্রেতা মারুফ সেখ জানান, প্রতিদিন দুপুরের দিকে আসি। আল্লাহর রহমতে বেচা বিক্রি ভালো হয়।
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক হোসেন জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থী হার্ড পয়েন্ট ও ক্রসবার-৩ এলাকায় প্রিয়জনদের সঙ্গে বেড়াতে আসেন। এতে দর্শনার্থীরা কোনো সমস্যা ছাড়াই ঘুরতে পারেন এ জন্য পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এম এ মালেক/এমএন/এমএস