রাজনৈতিক পট পাল্টাতেই ৫ লাখ মুসল্লি উধাও গোর-এ শহীদ ময়দানে

0
0


দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে লক্ষাধীক মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অন্যান্যবার ৫-৬ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণের কথা বলা হলেও এবার প্রকৃত হিসাব পাওয়া গেছে বলে ঈদ নামাজে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা দাবি করেছেন। পতিত সরকার পক্ষের আয়োজকরা মুসল্লির সংখ্যা বাড়িয়ে বললেও এবার তারা না থাকায় প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া গেছে বলে দাবি মুসল্লিদের।

প্রখর রোদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বৃহৎ এই জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরে খুশি দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা।

সোমবার (৩১ মার্চ) উত্তরের ১৬ জেলাসহ সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মিনার ও মাঠ গোর-এ শহীদ ময়দানে এবার ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বাগেরহাট জেলা ও গাজীপুর থেকে আসা কয়েকজন মুসল্লিও।

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দান ও ঈদগাহ মিনার। ১৯.৯৯ একর আয়তন বিশিষ্ট এই ঈদগাহে ১৯৪৭ সাল থেকে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও আধুনিক নির্মাণশৈলীতে এই ঈদগাহে বৃহৎ পরিসরে ঈদের জামাত শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে। সকাল ৯টায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৬টা থেকেই মুসল্লিরা সমবেত হতে শুরু করেন এই ঈদগাহে। ঠিক ৯টায় শুরু হয় নামাজ। এখানে ইমামতি করেন মাওলানা মো. মাহফুজুর রহমান। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহসহ ৭১ ও ২৪ এ শহীদ ও আহতদের জন্য শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনতা।

এদিকে বৃহৎ এই জামাতে অংশ নিতে পেরে খুশি মুসল্লিরা। তারা জানান, ঈদের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে দূর-দূরান্তের মুসল্লিরা এসে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন তারা।

শুধু দিনাজপুর ও আশপাশের জেলা নয়, এই জামাতে নামাজ আদায় করতে আসেন দূরদূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিরাও। বাগেরহাট থেকে আগত মুসল্লি আরিফুল ইসলাম (৩২) ও গাজীপুর থেকে আসা হাফেজ ইমরান হোসেন বলেন, আমরা প্রতিবার শুনি দিনাজপুরে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিনার ও ময়দানে লাখো মানুষ নামাজ আদায় করে। আমরা আজ ঈদের নামাজ আদায় করলাম। বড় জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পেরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

এত কিছু ছাপিয়েও এবার সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে আলোচনায় ছিল মাঠে আসা নতুন মুখ এবং নতুন ইমাম নিয়োগ নিয়ে। যাতে দিনাজপুরের মানুষ খুশি।

তারা বলেন, প্রতিবার আয়োজকরা ময়দানে যে পরিমাণ মুসল্লি নামাজ আদায় করত তার চেয়ে অনেক বাড়িয়ে বলতেন। এবার সঠিক হিসাব পাওয়া গেছে। যারা বাড়িয়ে বলতেন, এবার তারাও উধাও, তাদের বলা মুসল্লিরাও উধাও।

এমদাদুল হক মিলন/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।