অফিস সহকারী নিজেকে সচিব পরিচয় দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ | Habiganj

0
10

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ সদর,
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী মোঃ শরীফ মিয়া নিজেকে সচিবলয়ের সচিব দাবী করে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ভাইবা নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।পোশাকের মাধ্যমে যেমন হাইফাই তেমনি মুখের কথায় ও নেই কোনো ভেজাল।এ যেন সরকারি চাকুরী দেওয়ার এক নতুন কায়দা অবলম্বন করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন যাবত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী মোঃ শরীফ মিয়া।

নিজেকে সচিব পরিচয় দিয়ে মাস্টার রোলে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরী দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।শরিফ মিয়ার প্রতারণার ফাঁদে আটকে গেলেন হবিগঞ্জ জেলার সদরের পলাশ মিয়া নামের এক চাকুরী প্রত্যাশা। ভুক্তভোগী মোঃ পলাশ মিয়াকে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ভাইবা নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা।

ভুক্তভোগী পলাশ মিয়া তা জানান।পলাশ মিয়া শরীফের আটক রাখার বিষয়টা নিশ্চিত হন যখন তাদের কাউকেই একটা রুমের বাহিরে যেতে দেওয়া হত না।অবশেষে পলাশ মিয়া, জমির হুসেন সহ কয়েকজন গত ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পালিয়ে নিজ এলাকায় আসেন।

তারপর তারা নিকটস্থ থানায় বিষয়টি অবগত করেন।তখন উনাদেরকে আস্বস্ত করে নিউজ করার জন্য বলেন এবং মামলা আমলে নেওয়া হবে বলেও জানান।তিনি আরও বললেন যে শুধু আমি একা ছিলাম না আমার সাথে বাহুবলের দুইজন ছিল, একজনের নাম বললেন মোঃজমির হুসেন, জমির এর কাছ থেকেও ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বিমান মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে চাকুরী দিবেন বলে।

শরীফ মিয়া চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৩ মাস ঢাকায় একটি বাসায় আটক রেখে চাকুরী দেওয়ার নাম করে নগদে, বিকাশ ও তার বিশ্বস্ত সহচর রিপন মিয়া নামের ব্যাংক একাউন্টে টাকা নেন।

ভুক্তভোগীরা জানান বাহুবল, মৌলভীবাজার জেলার কিছু দালাল শরীফের সাথে একজুঠে কাজ করছেন। ভাইবা নেওয়ার নাম করে জন প্রতি শুরুতেই ৩ লাখ টাকা ক্যাশ গ্রহণ করেন প্রত্যেক ভাইবা দেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে।এইসব তথ্য পেশ করেন ভুক্তভোগীরা।অবশেষে শরীফ মিয়ার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে কল দিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

কল রেকর্ড তার প্রমাণ করে শরীফ মিয়া লাখ লাখ টাকা চাকুরীর বানিজ্য করে গ্রামের সহজ সরল ছেলেদেরকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের ভীটাবাড়ি বন্ধক, জমি জামা বিক্রি ও ব্যাংক থেকে ঋনের তথ্য পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগীদের দাবী শরীফ মিয়া সহ তার সহচর,যারা আছেন সবাইকে আইনের আওতায় আনা হউক এবং তাদের পাওনা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আইনের প্রতি বিশেষ আবেদন।