নেতৃত্ব দেওয়ার অভ্যাসটা আগেই করে ফেলেছিলেন মিচেল স্যান্টনার। দলের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তবে সেটি ছিল অস্থায়ী। ২৪টি টি-টোয়েন্টি ও ৪টি ওয়ানডেতে কিউইদের নেতৃত্ব স্যান্টনার এবার স্থায়ী হলেন। বাঁহাতি স্পিনারকে সাদা বলের স্থায়ী অধিনায়ক নিয়োগ করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
চলতি বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অধিনায়কের পদ ছাড়েন কেন উইলিয়ামসন। তার বদলি হিসেবেই গুরু দায়িত্ব পান স্যান্টনার। স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে স্যান্টনারের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ডিসেম্বরের শেষদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ।
স্যান্টনার অগ্নিপরীক্ষা দেবেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। এরপর কিউইরা মনোযোগ দেবেন ২০২৬ ওয়ানডে বিশ্বকাপে।
দায়িত্ব পেয়ে স্যান্টনার বলেন, ‘যখন ছোট ছিলাম, তখন স্বপ্ন ছিল নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলার। কিন্তু আমার দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাওয়াটা বিশেষ কিছু। এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। সাদা বলের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দায়িত্ব পেয়ে আমি পুলকিত।’
নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক টম লাথাম। তাকে তো সাদা বলের দায়িত্বও দেওয়া যেতো। কেন ভিন্ন কাউকে বেছে নিলো নিউজিল্যান্ড, সে প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কোচ গ্যারি স্টিড।
লাথামের উপর যেন চাপ না পড়ে, সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টম ল্যাথাম তিন সংস্করণেই দারুণভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। অক্টোবরে টেস্ট দলের পূর্ণকালীন অধিনায়ক হওয়ার পর অসাধারণ কাজ করেছে সে। আমরা চেয়েছি সে যেন ওই কাজটা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে।’
স্যান্টনারকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে স্টিড বলেন, ‘মিচ (স্যান্টনার) দারুণ একজন টিম ম্যান। শান্তশিষ্ট ও দারুণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ড্রেসিংরুমেও তার যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। দলকে ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারবে। টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করার ভালো অভিজ্ঞতা আছে। এ ছাড়া গত মাসে ওয়ানডেতেও অধিনায়ক হিসেবে ভালো করেছে সে। দলকে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়, সেটি তার ভালোই জানা।’
স্যান্টনারের নেতৃত্বে ২৪টি টি-টোয়েন্টির ১৩টি জিতেছে নিউজিল্যান্ড, হেরেছে ৯টি। ওয়ানডেতে চার ম্যাচে ১টি জয়, হার ২টিতে।
এমএইচ/জেআইএম