নানা আয়োজনে পঞ্চগড় মুক্ত দিবস পালন

0
2


পঞ্চগড়ে নানা আয়োজনে পঞ্চগড় মুক্ত দিবস পালন হয়েছে। এ উপলক্ষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, র্যালি, আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

দিবসটি পালনে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ ও বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে শহীদদের স্মরণে বিশেষ মুনাজাত হয়। এর আগে একটি র্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোচনা সভা হয়।

এতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর পাকবাহিনী সারাদেশে আক্রমণ শুরু করলেও ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্চগড় মুক্ত থাকে। পাকবাহিনী সড়ক পথে এসে ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় পঞ্চগড় দখল করে নেয়। তবে তেঁতুলিয়া সড়কের অমরখানায় চাওয়াই নদীর ওপর একটি ব্রিজ ভেঙ্গে দেওয়ায় পাকসেনারা তেঁতুলিয়া ঢুকতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়কাল তেঁতুলিয়া ছিল পাক হানাদার মুক্ত। মুক্ত অঞ্চল হিসেবে তেঁতুলিয়া সব কর্মকাণ্ডের তীর্থ ভূমিতে পরিণত হয়। অস্থায়ী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা তেঁতুলিয়াতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

১ নভেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় মিত্র বাহিনী যৌথভাবে আক্রমণ শুরু করে। ফলে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা মুক্ত হতে থাকে। পর্যায়ক্রমে পাক বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে ২০ নভেম্বর অমরখানা, ২৫ নভেম্বর জগদলহাট, ২৬ নভেম্বর শিংপাড়া, ২৭ নভেম্বর পূর্ব তালমাসহ একই দিনে আটোয়ারী, মির্জাপুর, ধামোর, শক্রমুক্ত হয়। ২৮ নভেম্বর রাতে পাকবাহিনী পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও নীলফামারীর ডোমার হয়ে সৈয়দপুরের দিকে পিছু হটতে থাকে। আর এভাবেই ২৯ নভেম্বর ভোরে হানাদার মুক্ত হয় পঞ্চগড়।

সফিকুল আলম/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।