পোশাকশ্রমিকদের অধিকার নিয়ে মার্কিন শ্রম বিভাগ-বিজিএমইএ বৈঠক

0
0


বাংলাদেশের পোশাকখাতের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে মার্কিন শ্রম বিভাগ এবং বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে মার্কিন শ্রম বিভাগের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক ব্যুরোর প্রতিনিধিদল এবং বিজিএমইএর মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজ, ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স থিয়া লি এবং অফিস অব ট্রেড অ্যান্ড লেবার অ্যাফেয়ার্সের প্রধান অ্যান এম জোলনার।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টি হফম্যান, ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক স্কট নোভা এবং গ্যাপ ইনক, পিভিএইচ কর্পোরেশন এবং ভিএফ কর্পোরেশনসহ প্রধান বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডসমূহের সিনিয়র প্রতিনিধিরা।

আলোচনায় বিজিএমইএ পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রশাসক আনোয়ার হোসেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন বিজিএমইএ পরিচালনায় গঠিত সহায়তা কমিটির সদস্য ও বিজিএমইএ নেতারা।

বৈঠকে শ্রমিকদের অধিকার, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রম আইন সংস্কার এবং বাজারে প্রবেশাধিকারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তৈরি পোশাক খাতের মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, শ্রম অধিকার এবং শ্রম আইনের সংস্কারের ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।

আলোচনায় বিজিএমইএ সহায়তা কমিটির সদস্যরা শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার এবং পোশাক শিল্পের চলমান প্রচেষ্টাগুলোর কথা তুলে ধরেন।

মার্কিন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশেষ করে শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তবে তারা বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) সংশোধনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে আরও টেকসই, ন্যায্য এবং শক্তিশালী পোশাকখাত গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ, মার্কিন সরকার এবং শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে অব্যাহত সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।