অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন এবং অমল কৃষ্ণ মন্ডলকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত সচিব বদরে মুনির ফেরদৌসকে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। উপসচিব জামিলা শবনম এই প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।
নাহিদ হোসেন ও অমল কৃষ্ণ মন্ডলকে ওসডি করে জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর অতিরিক্ত সচিব বদরে মুনির ফেরদৌসকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে সরিয়ে পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এই তিনজনের স্থানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাকে সংযুক্ত হয়েছেন আরও তিনজন অতিরিক্ত সচিব। তারা হলেন- ড. মো. মাহমুদ হাসান, মো. আহসান কবীর এবং মো. দাউদ মিয়া।
ড. মো. মাহমুদ হাসান এর আগে ভূমি মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। মো. আহসান কবীর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনে (বিসিক) ছিলেন। তিনি বিসিকের পরিচালক ছিলেন। আর মো. দাউদ মিয়া কপিরাইট নিবন্ধক ছিলেন।
অতিরিক্ত সচিব নাহিদ হোসেনকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধা ভোগ করা নাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিমা খাত ও শেয়ারবাজার থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন নাহিদ হোসেন। সর্বশেষ আইনের তোয়াক্কা না করেই পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্বতন্ত্র পরিচালক করে।
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমের ৪.২ এর (ই) এর ৬-এ বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো ট্রেকহোল্ডার বা শেয়ারহোল্ডারের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে বা ছিল, এমন কেউ ডিএসইর স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন না। ৭-এ বলা হয়েছে, শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী কোনো প্রতিষ্ঠানে (মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ) সর্বশেষ ৩ বছরের মধ্যে কর্মী বা পরিচালক হিসেবে জড়িত থাকা কেউ স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন না। এছাড়া ১০-এ বলা হয়েছে, কোনো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মী ডিএসইর স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন না।
এমন বিধান থাকার পরও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাহিদ হোসেনকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় বিএসইসি। ফলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তারপরও ডিএসই’র পরিচালক হিসেবে থেকে যান নাহিদ হোসেন।
এমএএস/ইএ