দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে গ্যাস সরবরাহ পাওয়ার পর কারখানা চালুর উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে দুপুর থেকেই বয়লার প্লান্ট চালু হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় আনন্দিত শ্রমিক-কর্মচারীরা। পর্যায়ক্রমে কারখানার অন্যান্য প্ল্যান্টগুলো সচল হলে ১৫-২০ দিনের মধ্যেই সার উৎপাদন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার নাথ।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। এতে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ৪ কোটি টাকার উৎপাদন ব্যাহত হয়।
কারখানা সূত্র জানায়, সার উৎপাদন এবং বিভিন্ন প্লান্ট পূর্ণ শক্তিতে চালু রাখতে ৪০-৪২ বার চাপে (৫৮৮ থেকে ৬১৭ পিএসআই) দৈনিক ৪৮-৫২ এমএমসিএফ গ্যাসের প্রয়োজন। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ। এরপর থেকে ৯ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকে। গ্যাসের দাবিতে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলন করলেও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
উৎপাদন বন্ধ থাকায় কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলায় বিদেশ থেকে সার আমদানি করে চাহিদা মিটানো হয়েছিল। এতে করে সরকারের বিপুল অংকের টাকা লোকসান হয়।
আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বজলুর রশিদ জানান, দীর্ঘদিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় অনেক যন্ত্রাংশই সমস্যা দিতে পারে। তাই কারখানাটি চালু করতে কষ্ট হবে। নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ চালু হলে সরকার লাভবান হতো।
আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার জানান, এক সময় কারখানাটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু বছরের বেশির ভাগ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকায় এখন লোকসানি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ পেলে কারখানাটিকে আবারো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত সম্ভব।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেডএইচ/এএসএম