বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। চ্যাট নিরাপত্তা, এইচডি কোয়ালিটি ছবি, ভিডিও আদান-প্রদান করা যায় খুব সহজে। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে নানান ফিচার যুক্ত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপে সারাদিন অনেকের সঙ্গেই চ্যাট করছেন আবার বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন হচ্ছেন। ক্লাস, অফিস কিংবা বন্ধুদের নানান ধরনের গ্রুপ তৈরি করে গল্প করছেন হোয়াটসঅ্যাপে। প্ল্যাটফর্মটি তার গ্রুপ ব্যবহারকারীদের জন্য নানান ফিচার যুক্ত করছেন।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অনেকে একসঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। একটি কলে যুক্ত হতে পারেন ৩২ জন্য। অ্যাডমিনদের জন্য নানান ফিচার প্রতিনিয়ত যুক্ত করে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্ম। তবে জানেন কি? হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালাতে সরকারের থেকে লাইসেন্স নিতে হয় এক দেশে।
দেশটি হচ্ছে জিম্বাবুয়ে। হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে একটি নতুন নিয়ম চালু করলো দেশটির সরকার। এর অধীনে নিজেদের আইডেন্টিটি রেজিস্টার করাতে হবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ অ্যাডমিনদের। সেই সঙ্গে গ্রুপ চালানোর একটি লাইসেন্স পেতে হবে।
এই নিয়মটি ঘোষণা করেছেন ইনফর্মেশন, কমিউনিকেশন টেকনোলজি, পোস্টাল অ্যান্ড ক্যুরিয়র সার্ভিসেসের মন্ত্রী টাটেন্ডা মেটেরা। এই লাইসেন্সের দাম শুরু হচ্ছে ৫০ ডলার থেকে। যা অ্যাডমিনদের জন্য সবচেয়ে জরুরি।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে যাতে ভুল তথ্য ছড়িয়ে না পড়ে এবং দেশে যাতে শান্তি বজায় থাকে, সেটাই এই নতুন নিয়মের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। জিম্বাবুয়ের ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্টের অধীনে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আর এই পদক্ষেপ যে কোনো তথ্য প্রদান করে। আসলে এই তথ্য যে কোনো ব্যক্তির আইডেন্টিটি প্রকাশ করতে পারে। অথচ এটাকে ব্যক্তিগত তথ্য হিসেবে সুরক্ষিত থাকা আবশ্যক। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ অ্যাডমিনদের কাছে গ্রুপের সদস্যদের ফোন নম্বর থাকে।
মূলত দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই লাইসেন্সের মাধ্যমে ভুল তথ্যের উৎস সহজেই ট্রেস করা সম্ভব। শুধু হোয়াটসঅ্যাপে সীমিত থাকবে না হোয়াটসঅ্যাপ। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এটি। আর এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটির আওতায় পড়বে ডেটা সুরক্ষা নিয়মের অধীনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক সংগঠনও।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএসকে/জিকেএস