নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন ক্রোনী গ্রুপের পোশাক কারখানার শ্রমিক। তবে তারা বেশিক্ষণ অবস্থান করতে পারেনি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কটিতে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে তারা সড়কের পাশের গলিতে অবস্থান করেন।
শ্রমিকরা জানায়, ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেড কারখানার প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্যে কয়েকশ শ্রমিককে বকেয়া বেতন না দিয়ে চাকুরিচ্যুত করা হয়। এই শ্রমিকরা বারবার কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে বেতন না পাওয়ায় কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মালিক ও শ্রমিক নেতার সঙ্গে আলোচনার পর আগামি বৃহস্পতিবারের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে ও বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কারখানা সামনে অবস্থান নেওয়ায় শ্রমিকরা চলে গেছেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে সেনা, বাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা কারখানা সামনে ও বিসিকে অবস্থান নেওয়ায় কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেই সঙ্গে যান চলাচলের বিঘ্ন ঘটেনি। এদিন সকল পোশাক কারখানায় কর্মপরিবেশ স্বাভাবিক ছিলো।
ফতুল্লার বিসিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনের মুখে বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকলে কারখানা খোলা ছিলো। কোনো গার্মেন্টস বন্ধের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত সোমবার বকেয়া বেতনের দাবিতে টানা আট ঘণ্টা ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এসময় কয়েকটি গার্মেন্টসও ভাংচুর করা হয়।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এএইচ/এএসএম