কমেডিয়ান টিম ডিলন, ‘জোকার: ফলি আ ডু’ সিনেমায় আরখাম আসাইলামের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স শোতে এসেছিলেন তিনি। সেখানে টড ফিলিপসের বিতর্কিত জোকার সিক্যুয়েলকে ‘সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ সিনেমা’ বলে অভিহিত করলেন টিম।
এই সিক্যুয়েলটি বিশ্বজুড়েই নেতিবাচক রিভিউ পেয়েছে। বক্স অফিসেও হয়েছে ব্যর্থ। এটি আমেরিকায় মাত্র ৫৮ মিলিয়ন ডলার ও বিশ্বব্যাপী ২০৪ মিলিয়ন ডলারয় আয় করেছে। যা ২০১৯ সালের প্রথম সিনেমার ১ বিলিয়ন ডলার আয়ের তুলনায় অনেক কম।
ডিলন ছবিটি নিয়ে বলেন, ‘এটা সবচেয়ে খারাপ সিনেমা। আমি মনে করি প্রথম জোকার সিনেমার পর অনেক আলোচনা হয়েছিল, এটি দর্শক দ্বারা ভালোবাসা পেয়েছে। তবে এটি সমাজের এমন কিছু মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছে যারা নিজেদের সঠিক মনে করলেও সমাজ তাদের ভুল ভাবে। মানে হলো ছবিটি ভুল বার্তা পাঠিয়েছে। সেখানে পুরুষদের রাগ, নৈরাজ্যকে খুব গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যা ঠিক নয়। তবে প্রথম গল্প হিসেবে বিষয়টি নতুন ছিল, আলোচনার বিষয় ছিল। তাই সফল হওয়া গেছে।
কিন্তু এই বার্তা রিপিট হলে ফল ভালো না হওয়ারই কথা। ছবির কর্তৃপক্ষ ভাবল, ‘যদি আমরা আরও এমন কিছু করি হয়তো ভালো হবে।’ তারপর তারা জোয়াকিন ফিনিক্স আর লেডি গাগাকে এমনভাবে দেখালো এবং নাচালো যা একেবারে পাগলামি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে কোনও প্লট নেই। আমরা যখন শুটিং করছিলাম তখনই বুঝতে পারছিলাম এটা ফ্লপ করবে। শুটিংয়ে পোশাক পরার সময়, খাবারের সময় এ নিয়ে আলোচনা করছিলাম এবং বলছিলাম, ‘এর প্লট কী? প্লট কি আছে? আমি জানি না, মনে হয় কারাগারে প্রধান দুটি চরিত্রের প্রেমে পড়া ছাড়া আর কিছু নেই। এটি এমনকি ঘৃণা করে দেখার মতো ছবিও নয়। এই সিনেমা এতটাই ভয়ানক।’
ডিলন আরও বলেন, হয়তো জোকার সিক্যুয়েলটি ছিল ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ‘প্র্যাঙ্ক’। কারণ এটি সরাসরি প্রথম সিনেমার যে ব্যাপারগুলো মানুষ ভালোবাসত, সেগুলোর বিপরীতে গেছে। তবে কিছু মানুষ, যেমন পরিচালক কুয়েনটিন তারানটিনো, সিনেমাটি পছন্দ করেছেন।
টিম ডিলনের মতে, এই সিনেমা হলিউডকে সমালোচনায় ফেলেছে, ডি.সি. এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্সের প্রতি দর্শকের বিরক্তি তৈরি করেছে। ফিলিপসের মতো অভিনেতা ও জোকারের মতো আবেদনময়ী একটি চরিত্রকেও অসম্মান করেছে।
এলএ/জিকেএস