রাশিয়ার তুলা শহরের একটি রাসায়নিক কারখানায় ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত চলা এই হামলায় আলেক্সিনস্কি রাসায়নিক কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে এলাকাজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে।
এসবিইউ সূত্রে জানা যায়, হামলায় অন্তত ১৩টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে কারখানাটির গানপাউডার উৎপাদন কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং অ্যাসিডের কারণে কমলা রঙের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। হামলার পর কারখানার সব কর্মীকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিন ইউক্রেনের হামলায় আলেক্সিনস্কায়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে একটি ১১০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন>>
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো যাচাই করে সিএনএন নিশ্চিত করেছে, এই ড্রোন হামলাটি ইউক্রেনের এসবিইউ নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিশেষ অপারেশন ইউনিট পরিচালনা করেছে।
তুলা শহরের এই রাসায়নিক কারখানাটি মস্কো থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এবং এটি রুশ সেনাবাহিনীর জন্য গানপাউডার ও গোলাবারুদ উৎপাদন করে থাকে বলে দাবি করেছে এসবিইউ।
এসবিইউর একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমাদের এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার সামরিক খাতের সঙ্গে যুক্ত অস্ত্রাগার, সামরিক বিমানবন্দর ও কারখানা ধ্বংস করা। এর ফলে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা কমে আসবে, যা আমাদের দেশকে সুরক্ষা দেবে।
তুলা অলের গভর্নর দিমিত্রি মিলিয়ায়েভ বলেন, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাতভর ইউক্রেনের ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে। তবে তিনি আলেক্সিনস্কি কারখানার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তার দাবি, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গত রাতে কিয়েভ প্রশাসন রুশ ভূখণ্ডে ড্রোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা করেছিল, যা আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
এদিকে, এই হামলার পর রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে রাতভর বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক কারখানায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেনি।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/