রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের ১৫ নেতার সাজা

0
3


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শান্তি সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ছাত্রলীগের ১৫ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ছয়জনকে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়। রামেকের হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হাসান অমি। তিনি ২৭তম বিডিএস ব্যাচের ছাত্র। তার দুই বছর ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়ও ২৯তম ব্যাচের শাহরিয়ার রহমান সিয়ামকে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিস্কার। ৩০তম ব্যাচের আশিক রেজাকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাফিউর রহমান সিয়ামকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, সাদমান সাকিব রক্তিমকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, ৫৯তম ব্যাচের শুভ কুমার মন্ডলকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, জয়দেব কুমার সাহার দুই বছরের জন্যে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত, গৌরব কুমার সাহার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত, আসিফুজ্জামনের এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার ও আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্ষণকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও সার্জারি বিভাগে ডিউটি এক্সটেনশন এবং মুচলেকা, ৬০তম ব্যাচের নাহিদ হাসানকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাইদা রশিদ ত্বাহাকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মাহদিন আহমেদ খানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মিজানুর রহমানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মুক্তার আলীকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

মুচলেকায় ক্ষমা পাওয়ারা হলেন, ২৯তম ব্যাচের সাবিহা আফরিন ছন্দকে তিরস্কার এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা নেওয়া হয়। এছাড়া ৫৯তম ব্যাচরে ফরিদ উদ্দিন, মুস্তাফিজ আল আমিন, শরিফ হোসেন, সাব্বির হোসেন অভি ও শাহরিয়ার আহসান সাজিদকে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা করা হয়েছে।
রামেকের হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে এই শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তাদের সিট বাণিজ্য, র‌্যাংগিং, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও জুলাইয়ের ছাত্র অভ্যুত্থানের বিরোধিতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

সাখাওয়াত হোসেন/এএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।