তিনি নেই এ সিরিজে। আগামীকাল ৬ নভেম্বর আরব আমিরাতের শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে, তাতে সাকিব আল হাসানকে দেখা যাবে না। আগেই জানা দেশ ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এ সিরিজ খেলবেন না। তাকে ছাড়াই সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ স্কোয়াড। সাকিব দলেই নেই। তারপরও সাকিব আছেন। থাকবেন।
সাকিব দলেই নেই, তারপরও আছেন? কিভাবে? হ্যাঁ, সম্ভব। সম্ভব এইভাবে যে, তিন ফরম্যাটেই সাকিব বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার। আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ড পারফরমেন্সটাও সাকিবের।
একটি ছোট্ট পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, আফগানদের বিপক্ষে সাকিব কতটা কার্যকর? দুই দেশের পারস্পরিক মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি রান বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমের (১৫ খেলায় ১৪ বার ব্যাট করে ১বার নটআউট থেকে ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৫৯)। আর ২ দলের ব্যাটারদের মধ্যে রান তোলায় দ্বিতীয় সাকিব আল হাসান (১৫ খেলায় ৪১৩ রান )।
আর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে উইকেট শিকারে সাকিব সবার ওপরে। ১৫ ম্যাচে সাকিবের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৩০ উইকেট। একমাত্র বোলার হিসেবে এক ম্যাচে ৫ উইকেট (২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ৫/২৯) শিকারের কৃতিত্বটাও শুধুই সাকিবের।
ব্যাটিং ও বোলিং মিলে সেরা অলরাউন্ড পারফরমেন্সটাও সাকিবের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশিবার ম্যাচ জেতানো নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে সাকিবের হাতে। সেই অতি কার্যকর পারফরমার এ সিরিজে দলে নেই। তার কথা হবে না? টিম বাংলাদেশ কি সাকিবকে মিস করবে না? অবশ্যই সাকিবের অভাব বোধ হবে। দল সাকিবকে মিস করবে।
পরিসংখ্যান নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাটি করা কেউ কেউ হয়ত বলবেন, আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশ যে শেষ তিন ম্যাচ টানা জিতেছে, তার একটাতেও ম্যাচ সেরা নন সাকিব (দুটিতে মিরাজ, অন্যটিতে পেসার শরিফুল)। তারপরও ওই খেলাগুলোতেও ব্যাট এবং বল হাতে সাকিবের অবদান কম ছিল না। তাই সাকিবের অভাব বোধ হবেই। সবচেয়ে বড় কথা, বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিবের জায়গাটা অপূর্ণই থাকবে। টেস্টে তবুও তাইজুল অনেকটাই পূরণ করতে শিখেছেন; কিন্তু নাসুমরা ওয়ানডেতে সাকিবের বিকল্প হতে পারেননি এখনো।
তাকে নিয়ে যত সমালোচনাই হোক, তার মাঠের বাইরের জীবন, রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া নিয়েও যত তীর্যক কথা-বার্তাই বলা হোক না কেন, মাঠের পারফরমার সাকিবের তুলনা নেই। সাকিবের বিকল্প খুঁজে পাওয়াও যে অনেক কঠিন! সাকিবের কীর্তি, অর্জন, প্রাপ্তিকে সহসাই ছোঁয়া যে কারো জন্য কঠিন।
এআরবি/আইএইচএস/