আপাতত বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বিষয়টি জানান।
জেলা প্রশাসক, ‘আমি রাজবাড়ী জেলায় যোগদান করার পরই জানতে পেরেছি, এ জেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং রাজবাড়ী স্টেশন হয়ে চলাচলের দাবিতে আন্দোলন করছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলীর সঙ্গে কথা বলেছি। এখানকার রাজনৈতিক অবস্থা ও মানুষের চাহিদার কথা আমি তার কাছে তুলে ধরেছি। বলেছি এই রুটে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল করায় মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেছেন এবং এ সুবিধাকে উপভোগ করছেন। ফলে বিকল্প সুবিধার ব্যবস্থা না করে এই ট্রেন কীভাবে বন্ধ করা হচ্ছে? তখন তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন যে, আপাতত তারা এ ট্রেন দুটি বন্ধ করবেন না। অবশ্যই বিকল্প সুবিধার ব্যবস্থা করে তারা ট্রেনের রুট পরিবর্তনের পরিকল্পনা করবেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব উঠেছে যে, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে চলাচলরত ঢাকাগামী বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হবে। অর্থাৎ রাজবাড়ী জেলার ওপর দিয়ে ট্রেন দুটি আর চলবে না। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও নতুন ট্রেনের দাবিতে শনিবার (২ নভেম্বর) রাত থেকে রাজবাড়ীতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিক্ষোভের কারণে ওইদিন রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী রাজবাড়ী এক্সপ্রেস এবং রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে ঢাকাগামী মধুমতি ও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস প্রায় একঘণ্টা আটকে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। আজ সকালেও একই দাবিতে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে জেলার সর্বস্তরের মানুষের ব্যানারে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
২০২৩ সালের ১ ও ২ নভেম্বর রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে চলাচল শুরু করে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন। এতে অল্প সময়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার সুযোগ হয় রাজবাড়ীবাসীর।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্মপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনো পাইনি। তবে জনগণের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
রুবেলুর রহমান/এসআর/জিকেএস