হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলিসহ ৫৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলি করে জখমের অভিযোগে আদালতে মামলাটি করা হয়।
রোববার (৩ নভেম্বর) লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম বাদী হয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার বাদী সামছুল ইসলাম জানান, পুলিশ সশস্ত্র অবস্থায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে। এতে ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করেছি। আমরা মামলাটি এফআইআর এর দাবি জানিয়েছি। আদালত মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের গুণ্ডা বাহিনী হিসেবে কিছু পুলিশ কাজ করেছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে। এ ঘটনায় তখন আইনজীবী সামছুল ইসলাম একটি মামলা করেছিলেন। কিন্তু দেশে তখন আইনের শাসন না থাকায় পুলিশ প্রভাব খাটিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিতে আদালতকে বাধ্য করে। এখন ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে আমরা আশা করছি। তাই আমারা ন্যায় বিচারের আশায় মামলাটি দায়ের করেছি।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে শহরের শায়েস্তানগরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হয়। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুকসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ হাজারও নেতাকর্মীরা অংশ নেন। কিন্তু দুপুর ১২টা থেকেই পুলিশ সভার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়ে জনসভায় আসা নেতাকর্মীদের হয়রানী করে। একপর্যায়ে পুলিশ মারমুখী হয়ে ওঠে। তারা অতর্কিতে নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায়ভাবে গুলি বর্ষণ করে।
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রিংগন, সফিকুর রহমান সিতুসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উক্ত মামলাটি করা হয়। মামলায় পুলিশ সুপার ছাড়াও তৎকালীন ওসি মাসুক আলী, ওসি তদন্ত দৌস মোহাম্মদকে আসামি করা হয়।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/জিকেএস