টেস্টে বিবেচনায় আসেননি এখনো। কেন তাকে টেস্ট দলে ডাকা হয় না? তাওহিদ হৃদয় কি টেস্ট খেলতে পারেন না, নাকি ব্যাটিং টেকনিক ভালো না। সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনো। মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর পর দেশের ক্রিকেটের আরেক প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত বোদ্ধা গাজী আশরাফ হোসেন লিপু প্রধান নির্বাচক হয়েও হৃদয়কে টেস্ট দলে এখনো ডাকেননি।
হৃদয়কে টেস্ট দলে না রাখার কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে একটি মাত্র কারণ। তা হলো- হৃদয় একটু বেশি শট খেলেন।
টেস্ট মেজাজের চেয়ে হৃদয়ের ব্যাটিং স্টাইল ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টির জন্য বেশি উপযোগী। শট খেলতে বেশি ভালবাসেন। খেলতে পারেন ভালোই। খেলেনও বেশি। ধরা হয়, বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এখন যে কয়েকজন ভালো স্ট্রোকমেকার আাছেন, হৃদয় তাদের অন্যতম।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানও মন্দ না। ৩০ ওয়ানডেতে ২৬ ইনিংস ব্যাট করে তিনবার নটআউট থেকেছেন হৃদয়। ৭ ফিফটিতে রান করেছেন ৮৪৮। স্ট্রাইকরেট ৮৪.৮৮।
কিন্তু ক্রিকেট অ্যনালিস্টরা মনে করেন, হৃদয় মূলত অনসাইড প্লেয়ার। তার বেশির ভাগ শট অনসাইডে। অফে তুলনামূলক অনেক কম শট খেলতে পারেন তিনি। বেশির ভাগ শটই দেখা যায় অনসাইডে খেলেন। অনেক সময় টেনে লেগে মারতে গিয়ে ক্যাচ হতেও দেখা গেছে হৃদয়কে।
কিন্তু হৃদয় তা মানতে নারাজ। তিনি মনে করেন,অফ ও অন- দু’দিকেই খেলার সামর্থ্য আছে তার। নিজের পক্ষে হৃদয়ের বড় যুক্তি হলো, রান করাই আসল। সেটা অফ না অন সাইড দিয়ে আসলো তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আজ শনিবার বিকেলে আরব আমিরাত যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হন হৃদয়। ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার তো মনে হয় না, অফ সাইডে ঘাটতি আছে। আপনার কাছে যদি মনে হয়, তাহলে হয়তো কাজ করে দেখতে হবে। আমার কাছে অমন মনে হয় না ঘাটতি আছে।’
খানিক ক্ষোভের সঙ্গে প্রশ্নকারী সাংবাদিককে হৃদয় বলেন, ‘অন্যান্য দেশের ক্রিকেটাররা যখন এক পাশ দিয়ে রান করে, তখন ঘাটতি থাকে না। তখন ভালো শট খেলে। আমরা যদি এক পাশ দিয়ে রান করি, তাহলে আমাদের ভেতরে ঘাটতি থাকে।’
হৃদয়ের দাবি, রান করাটাই শেষ কথা। কোন দিক থেকে সে রান আসলো সেটা ধর্তব্য নয়। তাই মুখে এমন কথা, ‘আমি মনে করি, রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ। রান না করতে পারলে তখন বলবেন, রান হচ্ছে না। তাই আমি মনে করি, ঘাটতি চিন্তা না করে যেদিক দিয়ে রান আসবে সেটাই চিন্তা করা উচিত।’
শেষে হৃদয় বোঝানোর চেষ্টা করেন, খেলাটা রানের। রান আসাটা গুরুত্বপূর্ণ। কোন দিক থেকে আসলো, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম