দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝপথে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত নেতৃত্ব থেকে সরেননি শান্ত। তাকে অধিনায়ক করেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তবে আলোচনা এখনো উবে যায়নি।
দেশের ক্রিকেটভক্তদের কয়েকজন এক জায়গায় হলেই তোলেন অধিনায়কত্বের আলোচনা। শান্ত সরে গেলে নতুন অধিনায়ক কে হবেন, সেটাই তাদের আলোচনার মূল বিষয়।
শান্ত যেকোনো সময় সরে যেতে পারেন। এমন একটা ইচ্ছেও পোষণ করেছেন বাঁহাতি টপঅর্ডার। অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ কথাও বলেছেন। মিডিয়ার সঙ্গে সর্বশেষ আলাপে বিসিবি সভাপতি শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও মেহেদী মিরাজও যে খারাপ অপশন না, তা বলতে দ্বিধা করেননি।
ফারুক বলেছেন, টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে মিরাজ নিয়মিতই খেলে। তাই তাকে টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ভাবাই যায়।
প্রশ্ন উঠেছে, তাওহিদ হৃদয়ও অধিনায়ক হিসেবে খারাপ না। এই ড্যাশিং ব্যাটার জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে কী ভাবছেন? তিনি কি কোনো ফরম্যাটে অধিনায়ক হতে চান? যদি অধিনায়কত্ব অফার করা হয়, তাহলে কী হৃদয় তা নেবেন?
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে আজ শনিবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে তার ভাবনা কী, তিনি অধিনায়কত্ব করতে প্রস্তুত কিনা, এমন প্রশ্ন করা হয়।
উত্তরে হৃদয় বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাচ্ছি না। সামনে যেহেতু আমাদের একটা খেলা আছে, এই (খেলা) ব্যাপারটাতেই মনোযোগ দিতে চাচ্ছি।’
টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে হৃদয়ের ব্যাখ্যা, ‘এই বিষয়ে বিসিবি সিদ্ধান্ত দেবে। এটা আমার হাতে কিছু নেই। আমি মনে করি, এটা শুধু আমার বা এক-দুইজন দিয়ে হবে না। এটা বিসিবি বা যারা আছে দায়িত্বে, তারা ভালো জানবেন। আমার যেটা মনে হয়, দলের ভালোর জন্য যার কাছে (অধিনায়কত্ব) যাওয়া উচিত, তাকেই দেওয়া উচিত। আর যার কাছেই যাবে, তার জন্য শুভকামনা।’
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম