ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের অদূরে ডহরশৈলা এলাকায় রেলক্রসিং নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। বিক্ষোভ শেষে রেললাইন ছেড়ে দিলে তা গন্তব্যের দিকে চলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পাকশী বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় ঈশ্বরদী বাইপাস-ঢাকা রেলরুটের ডহরশৈলা গ্রামে গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস থামিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, ঈশ্বরদী ও লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ডহরশৈলা গ্রামটি রাজশাহী-ঢাকা রেলপথ দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। গ্রামের একপাশে ৪০০ এবং অপর পাশে ২০০ পরিবার বসবাস করে। রেলগেট ও গেটম্যান না থাকায় এ গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। বাজারঘাট, চিকিৎসা ও শিশুদের স্কুল-কলেজে চলাচলের ক্ষেত্রেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মরদেহ দাফন, শিক্ষা, চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে রেললাইন অতিক্রম করে ঈশ্বরদীর সংযোগ সড়ক দিয়ে ডহরশৈলা আসতে হয়।
ডহরশৈলা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় এবি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বর) মো. সাহাবুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, গ্রামবাসী নিজস্ব অর্থায়নে কষ্ট লাগবের জন্য ১০ ফুট প্রশস্ত ও এক হাজার ২০ ফুট দীর্ঘ পাকা রাস্তা নির্মাণ করে। রেললাইনের ওপর দিয়ে নির্মিত এ রাস্তায় রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগের জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছি। মঙ্গলবার বিকেলে এ দাবিতে আবারো এলাকাবাসী রেললাইনে বিক্ষোভ করেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহেদি হাসান বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ডহরশৈলা গ্রামে রেললাইনের ওপর রেলগেট নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের। রেললাইনের ওপর সড়ক নির্মাণের কোনো অনুমতি ও বৈধতা না থাকায় এখানে রেলগেট নির্মাণের উদ্যোগ নিতে রাজি হয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গ্রামবাসীর প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ বলেন, রেললাইনের ওপর দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি। সেখানে এখন রেলগেট ও গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানাচ্ছে। একটি অবৈধ জায়গায় কোনোভাবেই রেল কর্তৃপক্ষ গেট নির্মাণ বা গেটম্যান নিয়োগ দিতে পারে না।
শেখ মহসীন/জেডএইচ/জিকেএস