ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক এবং উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের পদত্যাগ দাবি করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে এই আন্দোলন শুরু হয়। যেখানে কলেজের উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরে বিকাল ৩টার পর কলেজের মূল ফটক খুলে নিচ তলায় কন্ট্রোল রুমে থাকা অধ্যক্ষ ও উপাধ্যকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীরা দোতালায় উঠতে চাইলে সেনাবাহিনী ভেতর থেকে গেট লাগিয়ে দেয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা গেটের সামনেই অবস্থান করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল কলেজের নিচতলার কন্ট্রোল রুমে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। এসময় বেশ কয়েকজন শিক্ষককে ‘অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষকে পদত্যাগ করতে হলে আমরা ২১০ জন শিক্ষক একসাথে পদত্যাগ করবো’— এমন কথা বলতে শোনা যায়। পরে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে নিয়োগ দিতে হবে। আগামী ৩ মাসের জন্য বহিষ্কৃত সুমন স্যারকে পুনর্বহাল করতে হবে। মোশাররফ স্যারকে পুনর্বহাল করা, কায়কোবাদ স্যারের নামে মিথ্যাচার প্রত্যাহার করা, জাহাঙ্গীর স্যার ও সোবহান স্যারকে আজকের মধ্যে বহিষ্কার করতে হবে। আন্দোলনকারীদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা যাবেনা। এসব দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে এই ঘটনার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কলেজ প্রশাসন বৈঠক করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।
এনএস/এসআইটি/এএসএম