বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার এক বছর আজ। ফেইসবুকে ভারত বিরধী বক্তব্য দেয়ায় আবরার ফাহাদকে শিবির আখ্যা দিয়ে ছাত্রাবাসে নিররমম নির্যাতন করে হত্যা করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা।
করোনা মহামআরির কারণে বিচার কাজ থেমে থাক্লেও তা আবার শুরু হয়েছে। এতে সন্তুষ্ঠিও জানিয়েছে পরিবার। আবরারের পরিবারের এখন আক্টাই চাওয়া দ্রুত অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা।
বুয়েটে পড়ুয়া বড় ছেলে আবরার ফাহাদকে নিয়ে ছিল মা-বাবার আকাশ ভরা স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যায় ছাত্রলীগের এক রাতের নিররম নির্যাতনে। ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রতিক কিছু চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে বক্তব্য দেয়ায় শিবির আখ্যা দিয়ে আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিঠিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায় সারা দেশে চাত্রদের মধ্যে। গাহতকদের বিচার চেয়ে আবরারের বাবার করা মামলায় ২২ আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও ঘটনার এক বছর পার হলেও এখনো পলাতক ৩ আসামী। আর এই নিয়ে আক্ষেপ আবরারের পরিবারের।
ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-১ এ চলছে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচার কাজ। পুলিশের দেয়া চার্জশিটে উঠে আসে প্রায় ছয় ঘন্টা ধরে ক্রিকেট স্টাম্প, লাঠি ও দড়ি দিয়ে নির্যাতন করে ২৫ আসামী আবরারকে হত্যা করে। এই হত্যা কান্ডকে পূর্বপরিকল্পিত আর আসামীদের ক্ষমতার দম্ভ বলে আদালতে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আবরার ফাহাদ হত্যাকারীদের অপরাধ প্রমাণে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে। তাই শীঘ্রই বিচার কাজ শেষে আবরারের পরিবার ন্যায় বিচার পাবেন বলে আসাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।