পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বদলে গেছে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের নৈশ্যকালীন যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবা। পার্থক্য ঘুচেছে দিন-রাতে উত্তর দক্ষিণের বৈষম্যের। সতেজ শাক-সবজি, কৃষি পণ্য, মাছ-মুরগি পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন আড়তে, সাথে বেড়েছে অর্থনৈতিক তৎপরতা। লাঘব হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়িগুলোর ভোগান্তিও। স্বস্তি এখন সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে।
শীত, ঘন কুয়াশা, বর্ষা কিংবা যেকোনো বৈরী আবহাওয়ায় বা রাতে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যেতো রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ। বিপাকে পড়তে হতো রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, পচনশীল পণ্যবোঝাই যানগুলোকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষা; এ পথে চলাচলকারীদের কাছে ছিলো নিত্যদিনের ব্যাপার।
তবে এসবের সবই এখন অতীত। প্রমত্তা পদ্মার ওপর হয়েছে সেতু। বিশাল এ নদী পার হওয়া এখন মিনিট ছ’য়েকের ব্যাপার মাত্র।এক্সপ্রেস হাইওয়ের মাধ্যমে ভাঙ্গা থেকে রাজধানীতে পৌঁছাতে সময় লাগছে মাত্র এক-দেড় ঘণ্টা। কৃষিজ পণ্য থাকছে সতেজ। দেশব্যাপী সম্প্রসারিত হচ্ছে ব্যবসার পরিধি।
সবজি ব্যবসায়ী ও গাড়ির চালকরা বলছেন, আগে সময় লাগতো ৩-৪ ঘণ্টা। আর এখন ৪-৫ মিনিটের মধ্যেই সেতু পার হয়ে যেতে পারছি। এখন আর ফেরি ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না, ভোগান্তি কমেছে। সবদিক দিয়েই উপকার হয়েছে।
রাতে এই সড়ককে নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে পুলিশ। শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি গাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, একটা সময় পর্যন্ত আমাদেরকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিউটি করতে হতো। নির্ঘুম রাত আর পরিশ্রমের কোনো সীমা-পরিসীমা ছিল না। এখন আমাদের শিফটিং শুরু হয়েছে। সারারাত গাড়ি চলছে সাথে আমাদের দুইটা করে টহল পার্টির গাড়িও চলছে।
তবে এখন ভাঙ্গার পর থেকে সড়ক সম্প্রসারণের দিকে নজর দেয়ার দাবি দক্ষিণাঞ্চলবাসীর।
/এসএইচ