তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিলো নিউজিল্যান্ড। কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনের আগুনে বোলিংয়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে লঙ্কান ব্যাটিং। রান তাড়ায় চ্যালেঞ্জ যেটুকু ছিল, তা উড়ে যায় টিম সাইফার্টের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে। শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে সিরিজে সমতায় ফিরলো নিউজিল্যান্ড।
ডানেডিনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের পক্ষে ব্যাট হাতে মাত্র চারজন দুই অংকের রান ছুঁয়েছেন। বাকিদের ব্যর্থতায় দল ১৪১ রানেই গুটিয়ে যায়। দলীয় ১৮ রানে কুশল মেন্ডিস আউট হন ব্যক্তিগত ১০ রান করে। আর দলীয় ২৯ রানে ফেরেন ৯ রান করা পাথুম নিশানকা। তারপরও পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৫০ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা।
তৃতীয় উইকেট কুশাল পেরেরা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। শ্রীলঙ্কাও তখন এগিয়ে যাচ্ছিলো বড় স্কোরের দিকে। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এই জুটি ভাঙেন মিলনে। তার স্লোয়ারে আউট হয়ে যান পেরেরা (৩২ বলে ৩৫)। থামে ৪৬ বলে ৬২ রানের জুটি।
৯৯ রানে ফেরেন ডি সিলভা। এরপর ২৪ রান করেন চারিথ আসালঙ্কা। আর কেউই হাল ধরতে পারেনি লঙ্কানদের পক্ষে। অধিনায়ক দাসুন শানাকাসহ বাকি সবাই নাম লিখিয়েছেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষ পর্যন্ত ১ ওভার বাকি থাকতেই ১৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন অ্যাডাম মিলনে।
রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪০ রানে উইকেট হারায় কিউইরা। ১৫ বল থেকে ৩১ রান করা চাদ বোসকে আউট করেন কাসুন রাজিথা। এটিই ছিল লঙ্কান বোলারদের একমাত্র সফলতা। প্রথম উইকেটের পর দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন টিম সাইফার্ট ও অধিনায়ক টম লাথাম। দুজনই শেষ পর্যন্ত ছিলেন অপরাজিত। এর মধ্যে ৪৩ বল থেকে ৭৯ রান করেন সেফার্ট। আর ৩০ বল থেকে মাত্র ২০ রান করেন লাথাম।
এই ম্যাচে আম্পায়ারিং করে ইতিহাসের অংশ হয়ে যান কিম কটন। প্রথম নারী আম্পায়ার হিসেবে পূর্ণ সদস্য দুটি দেশের ম্যাচ পরিচালনা করলেন এই ৪৫ বছর বয়সী।
/আরআইএম