২০১৭ সালের ২৫শে আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইনে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর পর ফিরিয়ে নিতে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয় নি মিয়ানমার। উল্টো টাল বাহানা করে আসছে দেশটি। এমনকি রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে তারা।
নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গত বছর থেকে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার চলছে। গাম্বিয়ার করা ওই মামলায় এবার মিয়ানমারের বিপক্ষে লড়বে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস।
বুধবার দেশ দুটি যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়। এতে করে গাম্বিয়া এতো দিন একা লড়াই করে আসলেও এবার বড় দুটি দেশকে পাশে পাচ্ছে। এই দুটি দেশ সব ধরণের সহায়তা করবে বলে জানা গেছে। প্রয়োজনে মামলার ব্যয়ভারও তারা বহন করতে পারে।
ফলে গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত হবে। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাসোয়া ফিলিপ্স শ্যাম্পে ও নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লকের দেয়া যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয় গণহত্যায় যারা জড়িত তাদের জবাবদিহিতার আওতায় অবশ্যই আনতে হবে।
এদিকে গাম্বিয়া আগামী নভেম্বরে তাদের পর্যবেক্ষণ আদালতের কাছে তুলে ধরবে বলে জানিয়েছে সম্প্রতি। গত বছরের নভেম্বরে ওআইসির সহায়তায় গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করে। শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৩শে জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের দ্যা হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের আদেশ দেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্লাইটের অভাবে কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না দেশে আসা প্রবাসীরা!
আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari