প্রতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় স্ট্রবেরি দিবস। ফলটির স্বাদ ও গুণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানোই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। শত শত বছর ধরে এই সুস্বাদু লাল ফল জন্মেছে বন্য ফল হিসেবে। তবে ১৪ শতকের দিকে ফরাসিরা প্রথম ফলটিকে বাগানে চাষের পদ্ধতি চর্চা করতে শুরু করে। এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে স্ট্রবেরি।
মোটা দাগে বলা চলে, ১৯ শতকের শুরু দিকে হু হু করে বাড়তে থাকে স্ট্রবেরির জনপ্রিয়তা। চাহিদা বাড়ায় ওই সময় নিউইয়র্কে ব্যাপক পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এই ফলের চাষ শুরু হয়। তবে বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বেশি স্ট্রবেরি জন্মে। যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ শতাংশ স্ট্রবেরিই চাষ করা হয় ক্যালিফোর্নিয়ায়।
স্ট্রবেরি যে শুধু স্বাদ ও গন্ধেই অতুলনীয় তাই নয়, এতে আছে প্রচুর খাদ্যগুণও। স্বাস্থ্য বিষয়ক মার্কিন ওয়েবসাইট হেলথলাইনের একটি প্রতিবেদন বলছে, স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি’ থাকে। এছাড়া ভিটামিন এ, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজের সম্ভার আছে এই ফলে। সেই সাথে স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। শরীরে পানির চাহিদাও মেটায় এই ফল।
এছাড়া স্ট্রবেরির বীজে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। হার্ট ভালো রাখতে ও খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজে আসে এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। স্ট্রবেরির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্লান্ট কম্পাউন্ড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল খুবই উপকারী। শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালসকে বাড়তে দেয় না এই স্ট্রবেরি, তাই ক্যানসারের শঙ্কাও কমে।
অবশ্য এই ‘স্ট্রবেরি ডে’ পালনের ইতিহাস সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায়। ২০১৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু দেশের মুদি দোকানগুলোতে পালিত হতো দিবসটি। এরপর থেকে সারা বিশ্বেই কমবেশি স্ট্রবেরি ডে পালিত হচ্ছে। এদিন অনেক সুপার মার্কেট ও মুদি দোকানে স্ট্রবেরির ওপর বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে স্ট্রবেরির বিশেষ খাবার রাখা হয় মেনুতে।
দিনটিকে চাইলে আপনিও পালন করতে পারেন। এর জন্য চট করে স্ট্রবেরি ফ্লেভারের কোনো আইসক্রিম বা মিল্কশেক কিনে আনতে পারেন। কিংবা দোকানে গিয়ে স্ট্রবেরি কিনে সালাদ অথবা ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন। নিজেই বাড়িতে স্ট্রবেরির কেকও বানিয়ে ফেলতে পারেন। চাইলে আজ থেকেই বাড়ির ছাদ কিংবা খোলা স্থানে টবে চাষ করতে পারেন স্ট্রবেরি।
এসজেড/