বন্যায় পানি বৃদ্ধির কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের সবগুলো বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে শনিবার (১৮ জুন) দুপুর থেকে দুই জেলা এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
বিদ্যুৎ বন্ধের সময় পানি সেঁচে তা আধা ঘণ্টা পর চালু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছিল কর্তৃপক্ষ। তবে ইতোমধ্যে ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ চালু করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ বন্ধের আগেই সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছিলেন, সিলেট বিভাগীয় গ্রীড সাব স্টেশন যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করা হতে পারে।
বৃষ্টি-উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় দেশজুড়ে বন্যার ভয়াবহতা বাড়ছে। তবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সিলেট-সুনামগঞ্জে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটসহ ৬ উপজেলার শতভাগ এলাকা এখন বন্যাকবলিত। পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। সিটি এলাকাসহ সদর উপজেলার ৫০ ভাগ ডুবেছে বানের জলে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। পানি ঢুকেছে বাড়িঘরে। ৪৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন বানভাসী মানুষ। বন্ধ আছে ওসমানী বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠা-নামা। বন্যা মোকাবেলায় কাজ করছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ।
অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ এখন যেনো বিচ্ছিন্ন জনপদ। সড়কে পানি উঠায় ব্যাহত হচ্ছে সিলেটের সাথে যান চলাচল। সদরের সাথে সব উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা জেলা, নেই ইন্টারনেট সংযোগও। চরম দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে বানভাসী মানুষ। সুনামগঞ্জে দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে পানি।
/এমএন