খুলনায় সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় ঔষুধ সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রয়োজনীয় রেমডিসিভির ও ফ্যাভিপিরাভির ওষুধের দশ দিনের কোর্সের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়।
কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগী বাইরে থেকে এ ওষুধ কিনতে পারেন না । এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা । এ অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
খুলনায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৮৫ জন রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বজনদের অভিযোগ, এই হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় বিনামূল্যে শুধু প্যারাসিটামল ওষুধ দেওয়া হয় । তবে এন্টিবায়োটিক মেরোপেনেম,নিনাভিরসহ অন্যান্য ওষুধ বাহিরে থেকে কিনতে হয়।এতে একদিনের ওষুধের জন্য প্রয়োজন হয় ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা । এতে বিপাকে পড়ছেন তারা ।
চিকিৎসকরা বলছেন, রেমডিসিভির ইনজেকশন বা ফ্যাভিপিরাভির ওষুধের দশ দিনের কোর্সে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়। তবে সামর্থ্য না থাকায় ৬০-৭০ শতাংশ রোগী তা’ কিনতে পারেন না । এ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা ।
ডা.মেহেদী নওয়াজ, উপাধ্যক্ষ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ডেডিকেটেড হাসপাতালে ওষুধ সংকটের পাশাপাশি লিক্যুইড অক্সিজেন সরবরাহ না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন রোগীরা। আর এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক ও জনপ্রতিনিধিরা। ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সমন্বয়কারী, খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল।
তালুকদার আব্দুল খালেক,খুলনা সিটি মেয়র।
খুলনায় করোনা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে সরকার এমন প্রত্যাশা ভূক্তভোগীদের।