চড়া মূল্যে বিমানভাড়া দিয়ে আবুধাবী গিয়েও ইমিগ্রেশন জটিলতায় এয়ারপোর্ট থেকেই দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হলেন ৬৮ প্রবাসী বাংলাদেশী। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ অংশে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারণেই এই হয়রানি। সঠিক কারণ উদ্ধারে সোমবার এক জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে পাঁচ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
তবে এরইমধ্যে টিকিট কেটে ফেলেছেন এমন হাজার হাজার শ্রমিক আবুধাবি গিয়ে একই পরিস্থিতিতে পড়লে কী হবে- সে ব্যাপারে সুনির্দ্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
করোনা ভাইরাসের পরে আবু ধাবিতে ফ্লাইট খুলার পর বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ বিমান এবং এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে ১৩২ যাত্রী গিয়েছিলেন আবুধাবিতে। ইমিগ্রেশন জটিলতায় এয়ারপোর্ট থেকেই রোববার দেশ ফেরত পাঠানো হয়েছে ৬৮ জনকে। বাকিরাও ফিরবেন একে একে।
অভিযোগ উঠেছে, আমিরাত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এয়ারলাইন্সগুলো এপিআই বা এডভাস্ত প্যাজেঞ্জার ইনফরমেশন না দেয়ায় তাদের ফেরত পাঠিয়েছে আবুধাবি ইমিগ্রেশন।
ফেরত পাঠানোর সঠিক কারণ জানতে রোববার পররাষ্ট্র, সিভিল এভিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বৈঠক শেষে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী জানান, পাচ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে তদন্ত কমিটি।
আগামি পাঁচ-সাত দিনে আবুধাবিতে বিভিন্ন এয়ারললাইন্সের অন্তত ১৫ টি ফ্লাইট আছে। ওই ফ্লাইটের যাত্রীরাও এখন টেনশনে ও অনিশ্চয়তায় মধ্যে আছেন। এসব যাত্রীর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিতে পারছে না প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও।
আবু ধাবি থেকে ফেরত আসা ভূক্তভুগীরা ক্ষতিপূরণসহ পুনরায় ফেরত যেতে সরকারের কাছে দাবি জানান। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ফেরত আসা প্রবাসীরা বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন।