আগস্ট এলেই যেন প্রতিবছর বেড়ে যায় জঙ্গি আর সন্ত্রাসবাদী হামলার নীল নকশা। নাশকতা ঘটানোর চেষ্ঠায় তৎপর থাকে উগ্রবাদী গোষ্ঠী গুলো।
করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে এবারেও আগস্ট ঘিড়ে হামলার পরিকল্পনা ছিলো উগ্রপন্থীদের। লক্ষ ছিল সিলেটের হযরত শাহ জালালের মাজার সহ, বিভিন্ন স্থাপনা। এমনকি ঈদের আগে গেল ২৫ ও ২৬ জুলাই পল্টন ও মতিঝিলে পুলিশের মোটরসাইকেলেও রাখা হয় বোমা।
আর এসব অপতৎপরতায় জড়িত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কিছু বিপৎগামী তরুণরা।
মঙ্গলবার সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নব্য জেএমবির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। জঙ্গিদের এই ইউনিটের প্রধান সুলতান মোহাম্মদ নাঈমুজ্জামান কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আড়ালে উগ্রপন্থীদের নিয়ে নাশকতার নকশা করতেন বলে জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার এ নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানায় জঙ্গিরা নির্মূল না হলেও নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদাড়ি আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কৌশলগত অবস্থার কারণে তারা এখন নিষ্ক্রিয়।
জেএমবির এই দলটি নাশকতার সব পরিকল্পনা ও কার্যক্রম সিলেট থেকেই চালাতো দাবি করে মনিরুল ইসলাম বলেন বড় হামলার সক্ষমতা নেই দেশের কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর।
ঢাকার পাশাপাশি উগ্রবাদী এই তরুণরা গেল ৩১ জুলাই নঁওগা’তেও হামলা চালানোর চেষ্ঠা করে। ইউনিটের মূল নেতা গ্রেফতার হবার পর এখন তার সহযোগীদেরও পুলিশ খুঁজছে বলে জানান সিটিটিসি প্রধান।