মুরাদ ইমাম কবির:
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রফতানির পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। দু’সপ্তাহ আগেও এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক পণ্য আমদানি হলেও এখন তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ঋণপত্র খোলা কিছুটা সহজ হওয়ায় আমদানির পরিমাণ বেড়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। তবে তাদের অভিযোগ, এখনও চাহিদা মাফিক ঋণপত্র মিলছে না।
গেলো জানুয়ারী মাসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক পণ্য আমদানি হলেও ফেব্রুয়ারী মাসে কিছুটা বেড়ে এখন আমদানি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ ট্রাক পণ্য। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলার বিষয় কিছুটা সহজ হওয়ায় বন্দরে পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। আমদানিকারক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমদানির পরিস্থিতি বর্তমানে ভালো। আগে যেখানে দিনে ছিল ৭০-৮০ গাড়ি, সেখানে এখন দিনে থাকছে ১০০ থেকে ১৩০ গাড়ি। মসলা বা ছোলা বলেন, সব ধরনের আইটেমই ঢুকছে।
আরেক আমদানিকারক দিনেশ পোদ্দার বলেন, আগে আমরা ৪০০-৫০০ টন এলসির আবেদন করেছি। তখন হয়তো ব্যাংক আমাদের সেই এলসিগুলো দিয়েছে। তবে এখন ব্যাংক ৫০-৮০ টনের এলসিও দিচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এখনও চাহিদা মাফিক ঋণপত্র মিলছে না। ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে ৩ সপ্তাহ পার হয়ে যাচ্ছে। আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে তাদের কোনো অসুবিধা নেই। তবে যেকোনো এলসি করতে ১৫-২০ দিন লাগে। আরেক আমদানিকারক ললিত কেশোয়ার বলেন, প্রতিদিন ৫০০ টন এলসি করতাম। এখন ৫০ টনও হয় না। বেসরকারি ব্যাংকগুলো কোনো মার্জিন এলসি ওপেন করছে না।
চাল, ডাল, পাথর, ভূট্টা, খৈল, ভূষি, পেঁয়াজ, রসুন, মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি হচ্ছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আমদানি বাড়ায় বাড়তে শুরু করেছে সরকারের রাজস্ব আদায়। কাস্টমস বিভাগ বলছে, গেলো জানুয়ারি মাসে হিলি স্থলবন্দরে ২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আয় বেড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষেরও।
পানামা হিলি পোর্টের কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আমদানি রফতানি অব্যাহত আছে। তবে পূর্বের থেকে আমদানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে যেখানে একশোর নিচে গাড়ি প্রবেশ করতো, বর্তমানে সেই সংখ্যা একশো পেরিয়ে দেড়শোতেও যাচ্ছে। আমদানি বৃদ্ধির ফলে সরকারের রাজস্ব যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি পানামা হিলি স্থলবন্দরে শ্রমিকদের মধ্যেও একটি কর্মচাঞ্চল্য এসেছে।
/এম ই