স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী:
গ্রেফতারকৃত আসামিকে ছাড়িয়ে নেয়ার সময় পটুয়াখালীর মহিপুর থানা কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থানরত পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জলিল ঘরামির লোকজনের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে নয়জন পুলিশ সদস্য আছে স্বীকার করেছেন মহিপুর থানার ওসি। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের কুয়াকাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুন) শেষ বিকালে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা কমপ্লেক্সের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
তবে, এ ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আসামি ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে থানায় অবস্থান করায় পুলিশ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের উপর হামলা চালায় তারা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
অপরদিকে আহতরা জানান, কেন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানতে দুপুরের পর থানায় অবস্থান করলে বিকালে তাদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে লতাচাপলি ইউনিয়নের খাসিপাড়া এলাকায় বিজয়ী মেম্বার আবুল হোসেনের কর্মী এনামুল শরীপ ও সোবাহানকে মারধর করে পরাজিত প্রার্থী জরিল ঘরামির বড় ভাই খলিল ঘরামি। পরে এ অভিযোগে খলিলের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ শুক্রবার দুুপুরে খলিলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ খবর ছড়িয়ে পরলে দুপুরের পরপরই জলিল ঘরামির নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন থানা কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থান নেয়। পরে কয়েক ঘণ্টা তাদেরকে বোঝানোর পরও তারা স্থান ত্যাগ না করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় সেখানে অবস্থানকৃত লোকজনও পুলিশের উপর পাল্টা আক্রমণ করলে আহত হয় অনেকে।
ওসি জানান, পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া, এ ঘটনার নেতৃত্ব দেয়া পরাজিত প্রার্থী জলিল ঘরামিকে পুলিশ আটক করেছে।
জেডআই/