ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনে মুখ খুললেন অভিষেক

0
3


অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের কথা হাওয়ায় ভাসছে। গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে অনেক রসালো খবর প্রচার হলেও এ নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন অভিষেক।

সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেন, ‘লোকে যা বলে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তবে আমার একটি পরিবার রয়েছে। তারা দুঃখ পান। আমি যদি সবকিছুর ব্যাখ্যাও দিই, তাও লোকে আমার কথার ভুল মানে করবেই। কারণ নেতিবাচক খবর বেশি পাঠক পড়ে। আপনি (নিন্দুকরা) আমার কেউ নন। আপনি আমার জীবন বাঁচতে আসবেন না। সুতরাং আমি কাউকে উত্তর দিতে বাধ্য নই।’

অভিষেক আরও বলেন, ‘যারা নেতিবাচক কথা ছড়ান তারাই উত্তর দেবেন। আমি নই। কারণ, আমার এই কথায় কিছু যায় আসে না।’

সমালোচকদের উদ্দেশে তার ভাষ্য, ‘কম্পিউটারের সামনে বসে বসে ভুলভাল মন্তব্য করা কোনো কাজের কথা নয়। ভাবা উচিত আপনাদের মন্তব্য অনেককে ব্যথা দেয়। জানি না কতটা মোটা চামড়ার তারা।’

২০০৭ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। ২০১১ সালে বচ্চন পরিবারের আসে নতুন সদস্য। ঐশ্বরিয়া-অভিষেক কন্যার নাম রেখেছেন আরাধ্যা। এর কয়েক বছর যেতে না যেতেই দুই তারকার বিচ্ছেদের গুঞ্জনে ভারী হয়ে ওঠে বলিউড। ইন্ডাস্ট্রির বাতাসে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল মনখারাপ করা সংবাদ। কখন শোনা গেছে, শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছেন না ঐশ্বরিয়া। সে কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হচ্ছে দাম্পত্যে।

আবার কেউ কেউ দাবি করতেন, শাশুড়ি নয় অভিষেকের সঙ্গেই নাকি ঐশ্বরিয়ার মতবিরোধ সবচেয়ে বেশি। এ কারণে তাদের বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে। একাধিক অনুষ্ঠানে একসময় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। শুধুমাত্র ঐশ্বরিয়াকে মেয়ে আরাধ্যার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন:

সংসার জীবনের টানাপোড়েনের মাঝে সম্প্রতি বিবাহবার্ষিকীর মিষ্টি পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়া। মুম্বাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে অভিষেকের সঙ্গে যোগদানও করতে দেখা গেছে তাকে। সেইসঙ্গে কান চলচ্চিত্র উৎসবে মাথা ভর্তি সিঁদুর নিয়ে উপস্থিত হয়ে সাবেক এ বিশ্বসুন্দরী বিচ্ছেদের গুঞ্জনে জল ঢেলে দিয়েছেন।

এবার অভিষেক মুখ খুলে বুঝিয়ে দিলেন নিন্দুকরা যে যাই বলুক তাদের সম্পর্ক অটুটই রয়েছে।

এমএমএফ/এলআইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।