প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল অবস্থা। বাসার বাইরে গরম তো আছেই কিন্তু বাসার ভিতরেও গরমে থাকা যাচ্ছে না। কিছু কৌশল জানা থাকলে এই গরমেও ঘর ঠান্ডা রাখা যায়। চলুন বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক-
সূর্যের তাপ:
ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। আদর্শ জানালায় আসা সূর্যালোকের তিন চতুর্থাংশের বেশি তাপ ঘরে প্রবেশ করে এবং জানালা ঢেকে রাখলে তা কিছুটা কমাতে সহায়তা করে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।
চুলা বন্ধ রাখা:
চুলার গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।
অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা:
ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এ সকল যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত। চুল শুকাতে ব্যবহৃত ড্রায়ারও ঘরের তাপমাত্রা বাড়ায়। তাই চুল বাতাসে শুকানোই ভালো।
ছাউনি ব্যবহার:
ঘরের আশপাশে গাছপালা থাকা ঘরে সরাসরি সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। জানালায় ছাউনি থাকলে প্রায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়ক হয়।
অব্যবহৃত ঘরের দরজা বন্ধ রাখা:
বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে না এমন কোনো ঘর বন্ধ করে রাখা উচিত। এতে ঘরের জায়গার আয়তন কমবে এবং ঘর ঠান্ডা থাকবে।
দরজা এবং জানালার চারপাশে ফাঁকা বন্ধ করা:
দরজা বা জানালায় কোনো রকম ফাঁকা থাকলে তা বন্ধ করে দেয়া উচিত। এতে শীতে ঘর গরম থাকবে এবং গরমকালে ঘর ঠান্ডা থাকবে। ছোটখাটো এই পরিবর্তনগুলো ঘরে অনেক বড় পরিবর্তন আনে।
ইউএইচ/