স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় জেলখানার ‘পাগলা ঘণ্টা’ বাজানো হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কারাগারের বাইরের পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়।
খুলনা জেলা কারাগারের সুপার রফিকুল ইসলাম কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখন কারাগারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কারা সূত্র জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে সাক্ষাৎ কক্ষে জনৈক হাজতি হোসেন মুন্সি কয়েদি সেলিমকে (রাইটার) মারধর করেন। এসময় হাজতি ও কয়েদিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেলিম তার ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচিত কয়েদিদের নিয়ে হোসেনকে খুঁজতে থাকেন। এনিয়ে কারাগারের ভেতরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে জেলার আবু সায়েম বিষয়টি জানতে পেরে ভেতরে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেন।
পরে আবারও একই আসামিরা চিৎকার-চেঁচামেচি ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে থাকেন। এমনকি কর্তব্যরত কারারক্ষীদের কারাগার থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এসময় কিছু অতিরিক্ত কারারক্ষী ভেতর প্রবেশ করলে আসামিরা তাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন এবং তাদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় বিকেল ৪টার দিকে খুলনা জেলা কারাগরের মধ্যে অ্যালার্ম (পাগলা ঘণ্টা) বাজানো হয়। একই সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের তাদের সেলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন কারারক্ষীরা।
স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, কারাগারের ভেতরের পরিস্থিতি বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টহলরত সেনাবাহিনীকে জানায়। পরে সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি এসে অবস্থান নেয়। এতে আশপাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সেনাবাহিনী আসার পর জেলার আবু সায়েম অতিরিক্ত কারারক্ষী নিয়ে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি আসামিদের নিজ নিজ সেলে প্রবেশ করান। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান জেল সুপার।
আলমগীর হান্নান/এসআর/এমএস