মামুনুর রশিদ:
ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর খুলে ফেলা হয়েছে বাফুফেতে আবু নাইম সোহাগের কক্ষে তার নামের নেমপ্লেট। একদিনের ব্যবধানেই তিনি হয়ে গেছেন ‘সাবেক’ সাধারণ সম্পাদক। নতুন কেউ হয়তো আছেন দায়িত্বে নেয়ার অপেক্ষায়। যদিও আশা ছাড়েননি সাবেক হয়ে যাওয়া সোহাগ। বিষয়টিকে ‘সিলি’ আখ্যা দিয়ে তিনি আশা করছেন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন তিনি।
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। এরইমধ্যে শাস্তির বিষয়টি জানিয়ে আবু নাঈমকে চিঠিও পাঠিয়েছে ফিফা। চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে বাফুফে ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে (এএফসি)।
ফিফার স্বাধীন এথিক্স বা নৈতিকতা বিষয়ক কমিটির অ্যাজুডিকেটরি চেম্বারের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোহাগ ২০২০ সালের ফিফা এথিকস কোডের ধারা ১৫, ১৩ ও ২৪ লঙ্ঘন করেছেন। জালিয়াতি ও মিথ্যাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। সোহাগকে এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ফুটবলের এই সর্বোচ্চ সংস্থা। এছাড়া ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে সোহাগকে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১২ লাখ টাকা।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও প্রশ্ন শুনেই প্রেস কনফারেন্স কক্ষ ত্যাগ করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির বাকি সদস্যদের সাথে কথা বলে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান তিনি। তবে এরই মধ্যে কিছু পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়ে গেছে বাফুফেতে। উঠিয়ে ফেলা হয়েছে বাফুফের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ থেকে আবু নাইম সোহাগের নেমপ্লেট। কক্ষটিতে বসবেন কে, সে প্রসঙ্গে শোনা যাচ্ছে নতুন নতুন নাম।
কিন্তু এখনও আশা ছাড়েননি আবু নাইম সোহাগ। ফিফার এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে ‘সিলি’ আখ্যা দিয়ে ২১ দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করবেন তিনি। ফিফাতে আর আপিলের সুযোগ না থাকলেও কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস বা সিএএস’এ ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছেন আবু নাঈম সোহাগ।
আরও পড়ুন: সোহাগের বরখাস্ত মিথ্যাচার ও জালিয়াতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: ব্যারিস্টার সুমন
/এম ই