বাজারে তেল নেই। ভোজ্যতেলের জন্য এক প্রকার হাহাকার অবস্থা। ক্রেতারা তেলের জন্য এ দোকান থেকে ও দোকান ঘুরছেন, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সয়াবিন কিংবা পাম তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেশি, তাই মূল্য সমন্বয় করা ছাড়া বাড়ানো হচ্ছে না সরবরাহ। বলা হচ্ছে, বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে তেল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। ফলে সামনের দিনগুলোতে সংকট আরও বাড়বে।
উৎপাদক প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধই করে দিয়েছে তেলের সরবরাহ। তাদের যুক্তি, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেশি, তাই দামের সমন্বয় না করা ছাড়া স্বাভাবিক হবে না সরবরাহ। রামপুরা বাজারের অন্যান্য দোকানেও একই অবস্থা। তেলের জন্য যেন হাহাকার অবস্থা। ক্রেতারা তেল পাচ্ছে না। বিক্রেতাদেরও যেন কিছুই করার নেই।
কারওয়ান বাজারেও প্রকট হয়েছে তেলের সরবরাহ। ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্বস্তিকর অবস্থা। বোতলজাত কিংবা খোলা সব ধরনের তেলেরই সংকট তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় তেল মিললেও হাঁকানো হচ্ছে বেশি দাম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল।
বিশ্ব বাজারে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া তেল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, নতুন করে দাম সমন্বয় ছাড়া তেলের সরবরাহ বাড়াবে না উৎপাদক কোনো প্রতিষ্ঠান।
এসজেড/