বৃষ্টি আসছে, ভিতরে এসে বসো, অনশনে বসা ছেলের ‘প্রেমিকাকে’ ঘরে ডেকে নিলেন মা

0
2


ছবি: সংগৃহীত

ছেলের প্রেমিকাকে বৌমা করে ‘ঘরে তুলতে’ যথেষ্ট আপত্তি আছে। কারণ ছেলের বাড়িতে মেয়ের একলা চলে আসা নাকি তার পছন্দ নয়। তবে বৃষ্টি আসায় বিয়ের দাবিতে বাড়ির সামনে অনশনে বসতে দেখে তরুণীকে ঘরে ডেকে নিয়েছেন প্রেমিকের মা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কোচবিহারে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, কোচবিহারের মাথাভাঙার নিশিগঞ্জের তরুণ-তরুণীর বিয়ের দাবিতে ‘টানাপড়েনে’র মধ্যেও এমন ছবি অবাক করেছে সকলকে। প্রেমিকের বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে ঠাঁই পাওয়া ওই তরুণী অবশ্য পেশায় নিশিগঞ্জ কলেজের অতিথি শিক্ষক প্রণব গোস্বামীর মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করার দাবিতে অনড়।

মাথাভাঙার বাসিন্দা ওই তরুণীর দাবি করেন, প্রণবের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। আমার চাকরি যতদিন ছিল ততদিন ও (প্রণব গোস্বামী) আমার সঙ্গে ঘুরেছে। আমাকে বিয়ে করবে বলে ও বাড়িতেও আসতে বলেছে। কিন্তু যখন থেকে আমার চাকরি গিয়েছে তখন থেকে ও পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি ওকে বিয়ে করতে চাই। ও আমাকে সোমবার আসতে বলেছিল। বলেছিল, মঙ্গলবার তোমাকে বিয়ে করবো। ওর সঙ্গে ঘুরতে দেখে আমাকে বাড়িতে মারধর করেছিল। ও সেটা শুনে আমাকে চলে আসতে বলে। কিন্তু আমি বাড়িতে আসার পর থেকে ও পলাতক। এখন ও অনেক রকম মিথ্যা কথা বলছে। আমি যখন এখানে আসি তখন আমি জানতাম না যে আমার চাকরি চলে যাবে। হয়তো চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার জন্যই ও আমাকে আর মেনে নিতে চাইছে না। ও (প্রণব গোস্বামী) যতদিন না আসবে ততদিন এখানেই থাকবো বলেও জানান ওই তরুণী।

তরুণীর বক্তব্য শুনে ফুঁসে উঠেছেন প্রণবের মা অপর্ণা। কড়া গলায় তিনি দাবি করেছেন, আমার ছেলে এখানে নেই। এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছে। কিন্তু আমরা ওই মেয়েকে মেনে নেবো না। আমরা কখনও দেখিনি মেয়ে একলা একলা ছেলের বাড়িতে চলে এসেছে। চাকরি চলে না গেলে মেয়ে আসতো না আমাদের বাড়ি। আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের মাত্র ১০-১২ দিনের সম্পর্ক। ওদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নেই।

প্রণবের মা অর্পণা যখন এসব বলছেন তখন বেশ কয়েক বার প্রতিবাদ করতে শোনা গিয়েছে পাশে বসে থাকা ওই তরুণীকে। প্রণবের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে হওয়া কথাবার্তা প্রকাশ্যে আনার দাবিও করেছেন তিনি। অবশ্য তরুণী বলছেন, সোমবার আমি এই বাড়িতে এসেছি। তারপর থেকে ওর (প্রণব গোস্বামী) পরিবারের লোকজন আমাকে দেখভাল করছে।

প্রণবের পরিবারের লোকজনও অবশ্য একই দাবি করেছেন। অপর্ণা জানিয়েছেন, বর্ষার দিনে বাইরে থাকলে অসুবিধা হতে পারে। তাই তরুণীকে ঘরে ডেকে নেয়া হয়েছে।

এসব শুনে অবশ্য নিন্দুকরা বলছেন, ঘরের গণ্ডগোল যাতে বাইরে না আসে সে জন্যই ওই তরুণীকে ঘরে ডেকে নেয়া হয়েছে।

ইউএইচ/